ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বাফার সার গোডাউন থেকে হাজার হাজার বস্তা ইউরিয়া সার গায়েব হওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। এই সার কী ভাবে গায়েব হলো তার কোন হিসাব নেই কর্মকর্তাদের কাছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, গায়েব হওয়া এসব সার যোগানদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে রাতের আঁধারে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সার আর আনলোড করা হয়নি।
বাফার গোডাউন সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বাফার গোডাউন থেকে সার সরবরাহ করা হয়। সার ডিলারদের অভিযোগ, বাফার কর্মকর্তারা আর্থিক সুবিধা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কম ও জমাট বাঁধা সার রিসিভ করে থাকেন।
এ বিষয়ে সার গোডাউনের ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান, ২০১৫/১৬ অর্থ বছরে ৫৪৭ মেট্রিন টন অর্থাৎ ১০ হাজার ৯৪০ বস্তা সারের কোন হদিস নেই। যার আন্তর্জাতিক বাজার মুল্য ১৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। তিনি বলেন, তিনি ৩ মাস হলো তিনি এখানে এসেছেন। তিনি এসে ৫৪৭ মেট্রিক টন সার কম পেয়েছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফারটিলাইজার এ্যসোসিয়েশন ঝিনাইদহ শাখার সভাপতি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমরা শুনেছি বাফার গোডাউনে ৬/৫’শ মেট্রিক টন সার সর্ট রয়েছে। এখন সেগুলো কী ভাবে রিকোভারি করবে সেটা বাফার কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। তবে তিনি অভিযোগ করেন, জমাট বাঁধা ও নিম্নমানের সার ডিলারদের কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে।
জানা যায়, সার গায়েব হওয়ার বিষয়ে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ একেবারেই নীরব রয়েছে। তবে এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে এ নিয়ে সার ডিলার ও প্রশাসনের মধ্যে তোড়পাড়ের সৃষ্টি হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার