১৬ বছরের মেয়ে মিমমাহ। ছোটবেলায় জ্বর এবং খিঁচুনি থেকেই তার বাম পাটি খাটো হয়ে যায়। সেই থেকে নানা অবহেলা আর কটূক্তির শিকার হতে হয় মিমমাহ ও তার পরিবারকে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রাম থেকে মেয়ে মিমমাহকে (১৬) চিকিৎসা করাতে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে অাসেন বাবা মো: অাব্দুল গফুর।
এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। সেখানে তার পায়ের মধ্যে রড ঢোকানো হয় (ট্রাকশন)। এখন তার অপারেশন করতে প্রয়োজন প্রায় আড়াই লাখ টাকা। এদিকে দরিদ্র পিতা আব্দুল গফুর পেশায় একজন ইমাম। বিশাল অঙ্কের এই টাকার কথা শুনেই হতভম্ভ হয়ে পড়েছেন অাব্দুল গফুর। যে মানুষটির সংসার চলা দায় তার পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা পাহাড় সমান কষ্টকর ব্যাপার। তাই তিনি বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন।
মিমমাহ বর্তমানে হাসপাতালের ৪র্থ তলার মহিলা ওয়ার্ডের ১২নং বেডে ভর্তি অাছেন। সেখানে ডাক্তার ওয়াহিদুর রহমান ও ডাক্তার দীপুর তত্বাবধানে রয়েছে মেয়েটি। মিমমাহ জানিয়েছে, এক পা খাটো হওয়ার কারণে এলাকার মানুষ কটূক্তি করে। বান্ধবীরা খেলাধূলা করে অার অামাকে বসে থাকতে হয়। খুব কষ্ট হয় তখন।
অাব্দুল গফুর জানান, ইমামতি করে যে টাকা পাই তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। মেয়ের চিকিৎসা করাতে এত টাকা লাগবে ভাবতেও পারিনি। অাল্লাহর দুনিয়ায় অসংখ্য ভালো মানুষ অাছেন। সেই মানুষটির অপেক্ষায় অাছি। তা না হলে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি চলে যেতে হবে।
মিমমাহকে সহযোগিতা পাঠানোর ঠিকানা:
আইবুল আলম, সোনালী ব্যাংক, কামারখন্দ শাখা, সঞ্চয়ী হিসাব নং ৩৪০-৭৭-৬১৯। মোবাইল: ০১৫৫৬-২৮৬৫৬০ (মো. আব্দুল গফুর)।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল