যশোর কোতয়ালী থানা থেকে নূর নবী মোশফেক সোহেল ওরফে ট্যাবলেট সোহেল নামে এক আসামি পালিয়ে গেছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানার ডিউটি অফিসারসহ দুই পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তবে ‘পলাতক’ আসামির স্বজনরা পুলিশের এ দাবিকে সত্য নয় বলে দাবি করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৩ নভেম্বর বেলা ১২টার দিকে যশোর সদর উপজেলার রাজারহাট কচুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা সোহেল (২৫) নামে ওই যুবককে আটক করে। মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে র্যাব তাকে যশোর কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করে।
কোতয়ালী থানার ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, সকালে যশোর সার্কিট হাউজে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অবস্থান করছিলেন। সেখানে থানার সব অফিসাররা ডিউটিতে ব্যস্ত ছিলেন। সকাল সোয়া ১০টার দিকে ট্যাবলেট সোহেলকে থানাহাজত থেকে বের করা হয় কোর্টে নেওয়ার উদ্দেশ্যে। এরই মধ্যে থানার মধ্যে থেকেই পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সে পালিয়ে যায়।
ওসি বলেন, কর্তব্যে অবহেলার দায়ে থানার ডিউটি অফিসার এসআই এসএম শামিম এবং সেন্ট্রির ডিউটিতে থাকা কনস্টেবল আকরাম হোসেনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। থানার এসআই এসএম শামিম বাদি হয়ে এ ব্যাপারে একটি মামলা করেছেন।
এদিকে সোহেলের ভগ্নিপতি টিবি ক্লিনিক এলাকার ফার্নিচার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসান যশোর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার সকালের দিকে সোহেলের উঠে দাঁড়ানোর মতো অবস্থা ছিল না। এ অবস্থায় একজন আসামি থানা থেকে পালিয়ে যাবে, একথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সোহেল যশোর শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার মানিক মুনশির ছেলে।
কোতয়ালী থানার এসআই মিরাজ মোসাদ্দেক বলেন, ট্যাবলেট সোহেলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক, অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও ছিনতাই মামলার চারটি ওয়ারেন্ট আছে। এছাড়া সব মিলিয়ে প্রায় এক ডজল মামলার আসামি ট্যাবলেট সোহেল। সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।