কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মাদক বিক্রির টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই মোক্তার হোসেন ও সবুজ নামের দুই যুবককে পিটিয়ে এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহের বশে দু'জনকে আটক করা হলে তাদের স্বীকারোক্তিতে এ তথ্য বেরিয়ে আসে।
গত ৭ নভেম্বর খুন হন মোক্তার ও সবুজ। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলার বুড়িচং থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন গোলাম কিবরিয়া ও ইব্রাহিম খলিল নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে খুনের তথ্য। বুধবার বিকালে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকারসহ অন্যদের নাম প্রকাশ করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট মো. তারেক আজিজের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবাবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকার মিরপুরে বসবাসরত ও টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ক্বারী রোস্তম আলীর ছেলে মোক্তার হোসেন তার বন্ধু ঢাকার মিরপুরের কাজিপাড়াস্থ ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও জেলার দেবিদ্বার উপজেলার আসাদনগর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে সালমান খাঁন সবুজকে নিয়ে গত ৭ নভেম্বর জেলার বুড়িচং উপজেলার নিমসার গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে সাইফুলের বাড়িতে আসেন। দীর্ঘ দিন যাবৎ সাইফুল ও মোক্তার হোসেনের মধ্যে মাদক ব্যবসার লেনদেন ছিল। এক পর্যায়ে মোক্তার হোসেন সাইফুলের নিকট তার মাদক বিক্রির টাকার জন্য চাপ দেন। এতে সাইফুল ক্ষিপ্ত হয়ে তার সহযোগী গ্রেফতারকৃত গোলাম কিবরিয়া ও ইব্রাহিম খলিলসহ অন্যদেরকে নিয়ে মোক্তার ও সবুজকে পিটিয়ে এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার গভীর রাতে বুড়িচং থানার এসআই আবদুল হক ও এসআই সাইফুল ইসলাম ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে বুড়িচং উপজেলার মোকাম গ্রামের আবদুল বারেকের ছেলে গোলাম কিবরিয়া (৩০) ও একই গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে ইব্রাহিম খলিলকে (২৭) গ্রেফতার করে।
বুড়িচং থানার ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তম কুমার বড়ুয়া জানান, ‘মাদক বিক্রির টাকার লেন-দেনের বিরোধের জের ধরে এ জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। মামলায় গ্রেফতারকৃত গোলাম কিবরিয়া ও ইব্রাহিম খলিল আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তাদের সম্পৃক্ততাসহ অপর আসামিদের নাম প্রকাশ করেছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ