মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় সমাজসেবা করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। গ্রাম্য দলাদলির ও হেরে যাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ষড়যন্ত্র আর অপপ্রচারের জালে জড়িয়ে যাচ্ছেন তারা। আর এতে করে চরম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উন্নয়ন কার্যক্রম। অনেক জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক ও গ্রাম্য দলাদলির কারণে মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
ইউপি পরিষদের মাধ্যেমে ভিজিএফ, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ অন্যান্য সরকারি অনুদান প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় অনেক মানুষকেও বঞ্চিত করতে হয়। অভিযোগ ওঠেছে, সেই বঞ্চিতদের ক্ষেপিয়ে তুলে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রতিপক্ষরা।
সাহেবরামপুর এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আহসান সেলিম অভিযোগ করে বলেন, এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় না এসে উন্নয়ন কাজে বাধা তৈরি করছে একটি মহল। তারা মনে করে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে পারলে আমাকে ব্যর্থ বলে প্রচার করা যাবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাদেরও বুঝতে হবে।
একইভাবে রমজানপুর এলাকার ইউপি সদস্য শাহ আলম সিকদার অভিযোগ করে বলেন, ছয়জন প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে আমি বিজয়ী হয়েছি। কিন্তু বিজয়ী হলেও সেই প্রার্থীদের রোষানলে পরে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর অপপ্রচার হিসেবে আমার নামে রটিয়ে দেয়া হয়েছে সরকারি ঘর দেয়ার নামে আমি নাকি টাকা নিয়েছি। সেই টাকা নাকি আবার ফেরতও দিয়েছি। অথচ এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আবার আমাকে হয়রানি করতে থানায় মিথ্যা জিডি পর্যন্ত করিয়েছে।
বাঁশগাড়ী এলাকার সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেম্বার জাকিয়া বেগম বলেন, আমার ভাইকে ফাঁসিয়ে দিয়ে জেল খাটানো হচ্ছে। আর আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সরকারি বরাদ্দ আসে যতজনের জন্য চাহিদার লোক থাকে তার চেয়েও বেশি। ফলে যারা বঞ্চিত হয় তাদের ক্ষেপিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যক্তিরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং অপপ্রচার চালায়।
বিডি প্রতিদিন/১৭ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা