বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান হাওলাদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, উপবৃত্তির টাকা বিতরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা করে কেটে রাখা হচ্ছে। নীতিমালা অগ্রাহ্য করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে।
এছাড়া বিভিন্ন খাতের বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে নামে মাত্র সংস্কার কাজ করারও অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে। অভিভাবক সুদেব মন্ডল অভিযোগ করেন, ছেলের এক বছরের উপবৃত্তির ১২০০ টাকার জায়গায় দেয়া হয়েছে মাত্র ৬০০ টাকা।
অভিভাবক জাহানারা বেগম অভিযোগ করেন, নাতি জাহিদের কাছ থেকে উপবৃত্তির ১০০ টাকা রেখে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এভাবে সকল শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রাখা হয়েছে।
তৃতীয় শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার আগে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০টাকা করে পরীক্ষার ফি নিয়েছেন শিক্ষকরা।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য ও ছাত্র অভিভাবক গোপাল চন্দ্র হালদার অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান গত বছর স্কুলের বিভিন্ন প্রজাতির ১২টি গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে ১৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া একাধিক প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্ধ করা হলেও তা নামমাত্র কাজ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারি শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক সকালে স্কুলে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ান। এরপর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে সপ্তাহে ৩/৪ দিন অফিসের কাজের কথা বলে বাইরে চলে যান।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মো. মজিবর রহমান বলেন, স্কুলে ফ্যান কেনার জন্য ৪৮ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। সেই টাকা একজন শিক্ষিকার কাছে গচ্ছিত রাখা হয়েছে। গাছ বিক্রির টাকা ম্যানেজিং কমিটির কাছেই জমা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. বদিউজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, দক্ষিণ পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের বিষয়ে তার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
বিডি প্রতিদিন/১৭ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা