দীর্ঘ কারাভোগ ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে ফের পৌর মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় তিনি পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ সময় পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান ওই রাতেই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
তিনদফা তদন্ত শেষে সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। ওই অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ার পর ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর গউছ হবিগঞ্জের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
কারাগারে থেকেই ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন তিনি। ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি প্যারোলে মুক্ত হয়ে সিলেটে শপথ গ্রহণ করেন। ওই বছরের ২০ মার্চ তাকে আবারও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ৭৩৯ দিন কারাভোগের পর গত ৪ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান মেয়র গউছ। এরপর শুরু হয় আইনি প্রক্রিয়া।
গত ২৩ জানুয়ারি মেয়র জি কে গউছকে সাময়িক বরখাস্ত আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্ট। ৩০ জানুয়ারি শুনানি শেষে চেম্বার আদালতও হাই কোর্টের আদেশ বহাল রাখে। এরপর ২০ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উচ্চ আদালতের আদেশ প্রতিপালনের জন্য চিঠি পাঠায়। উল্লেখ্য, জি কে গউছ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।