বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী ৯৫তম গোপাল চাঁদ বারুণী স্নান ও মহামেলা। দেশী বিদেশের লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে এ মেলায়। ১ম দিন শনিবার মদন ত্রয়োদশী তিথিতে অনুষ্ঠিত হবে বারুণী স্নান। চলবে রবিবার বেলা ১০টা পর্যন্ত।
দেশের অভ্যান্তরীন তালিকাভূক্ত ৪শ’টি দলের ১ লাখ ভক্ত ইহজাগতীক পাপ মোচন ও পার্থিব কল্যাণ লাভের জন্য একযোগে স্নানে অংশ নেবে। শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২০৫তম জন্ম স্মরণে বাংলা ১৩২৮ সাল থেকে লক্ষীখালী গ্রামে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। যা এখন ‘গোপাল সাধুর’ মেলা নামে পরিচিত।
প্রায়ত গোপাল সাধুর ২৪ বিঘা জমি নিয়ে বসতবাড়িতে বসবে এ মেলা। মেলা ও স্নান নিয়ন্ত্রনের জন্য পুলিশ, আনছার ভিডিপি ছাড়াও স্থানীয় ৩শ’ স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত রয়েছে।
গোপাল সাধুর এ লীলা ধামে এ পর্যন্ত ৪ পুরুষ গত হয়েছে। বর্তমান গদিনশীন তরুণ সেবাইত সাগর সাধু ঠাকুর জানান, এ বছরের মেলায় যোগ দিয়েছেন, ভারতবর্ষের মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি ভারতীয় লোকসভার সদস্য মাতাশ্রী মমতা ঠাকুর। এ ছাড়াও সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর ও বাংলাদেশ মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মতুয়াচার্য শ্রীশ্রী হিমাংশুপতি ঠাকুর।
গোপাল সাধুর এ মেলা সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এখানে জমায়েত হয়। সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে ভারত, ভুটান ও নেপালের ৪০ থেকে ৫০টি দল বিগত বছরগুলোয় অংশগ্রহণ করেছে। বর্তমানে ভিসা ও বর্ডার জটিলতার কারণে শুধুমাত্র ভারতের কয়েকটি অঞ্চলের মানুষ অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গেছে। লক্ষ্মীখালীর এ মেলাকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কমপক্ষে ২ হাজার দোকানী এসেছে। রয়েছে নাগরদোলাও।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুল আলম জানান, মেলায় আগতদের নিরাপত্তা ও শৃংখলা রক্ষার জন্য একাধীক অফিসারসহ পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করছে।
বিডি প্রতিদিন/৮ এপ্রিল ২০১৭/হিমেল