ভারত পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বৃদ্ধি করায় দিনাজপুরসহ এ অঞ্চলের বাজারে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ভারতে বন্যা ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পেঁয়াজ উৎপাদন কম হওয়ায় পেঁয়াজ রপ্তানিতে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
ক্রেতারা জানান, ঈদের আগেই বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বাড়ছেই, কমার কোনো লক্ষণ নাই। ঈদ-উল-আযহার আগে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। বাজার মনিটরিং থাকলে এটা রোধ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানির ঈদ এলেই পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এ চাহিদার কথা মাথায় রেখে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ আমদনি করেছেন ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ হয় রাজধানী ঢাকাসহ, বগুড়া, চট্টগ্রাম, ফেনী, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
বিক্রেতারা জানান, গত এক সপ্তাহ আগে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হতো ১৬ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হতো ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে।
আজ বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের বাহাদুরবাজার এনএ মার্কেটে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।
বাহাদুরবাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতা মোসলেমা বেগম জানান, গত এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজ কিনেছেন ১৬ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে। এখন তাকে খুচরা ক্রয় করতে হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের আহবায়ক হারুন উর রশীদ হারুন মুঠোফোনে জানান, ভারতে বন্যা ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবার পেঁয়াজ উৎপাদন কম হয়েছে। সেই কারণে বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ দিতে পারছে না ভারত। গত জুলাই মাস পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন প্রতি টন ১৫০ ডলার মূল্যে। কিন্তু গত ৭ আগস্ট ভারত এই দাম বৃদ্ধি করে প্রতি টন পেঁয়াজের রফতানি মূল্য নির্ধারণ করে ২৫০ ডলার। আর গত বুধবার ভারতীয় রফতানিকারকরা প্রতি টন পেঁয়াজের মূল্য ৩০০ ডলার নির্ধারণ করেন।
হিলি স্থলবন্দরের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা রায়হান হোসেন ভারত পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বৃদ্ধি করার কথা স্বীকার করে জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কিছুটা কমেছে। এটা চিন্তার কোন কারণ নেই।
বিডি প্রতিদিন/১০ আগস্ট, ২০১৭/ফারজানা