এক কোটি ৩৩ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ঝালকাঠী সড়ক ও জনপথের বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী নুরুল আমিন সিকদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকৌশলী নুরুল আমিন বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক এনায়েত হোসেন তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রকৌশলী নুরুল আমিন নগরীর আলেকান্দা এলাকার বিশাল অট্টালিকা 'লাচিন ভবন'র মালিক এবং উজিরপুর বাজারের বাসিন্দা ইয়াকুব আলী সিকদারের ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বরিশাল দুদক প্রকৌশলী নুরুল আমিনের কাছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসেব চায়। সেখানে তিনি ৪৮ লাখ ৬২ হাজার ১৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের কথা উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে দুদকের তদন্তে প্রকৌশলী নুরুল আমিনের এক কোটি ৩৩ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪১ টাকার তথ্য গোপনের প্রমাণ পায়।
সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৮ অক্টোবর বরিশাল দুদকের সহকারি পরিচালক এএইচ রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলার একমাত্র আসামী প্রকৌশলী নুরুল আমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর তার আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত থেকে মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করে। স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষে প্রকৌশলী নুরুল আমিন আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সাথে মামলাটি বিচারের জন্য বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে পাঠান জেলা জজ আদালত।
বিডি প্রতিদিন/১০ আগস্ট, ২০১৭/ফারজানা