বরিশালের হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়ন লঞ্চঘাটের চাঁদাবাজী নিয়ন্ত্রন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। শুক্রবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নিলে চরম উত্তেজনার সৃস্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েক মাস আগে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধুলখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক কালাম বেপারীর মধ্যে বিরোধ চলছে। সেখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইকবাল মাতুব্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হন ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক জামাল ঢালী। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীন বিরোধের সুযোগে সেখানে বিএনপি প্রার্থী মকবুল দপ্তরী বিজয়ী হন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিনের ভাই দল মনোনীত পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল মাতুব্বর জানান, ধুলখোলা লঞ্চঘাটে প্রতিদিন ঢাকা-রুটের একটি লঞ্চ নোঙ্গর করে। ওই লঞ্চ কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন ৩ হাজার করে টাকা দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। ইউপি নির্বাচনের পর দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল ঢালী ওই টাকা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এতে বাঁধ সাধে তার ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন। এ কারনে গতকাল শুক্রবার তার ভাইয়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
মাওলানা জসিম উদ্দিনের প্রতিপক্ষ গ্রুপের দাবী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা লঞ্চে চাঁদাবাজী বন্ধ করতে উদ্যেগী হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাওলানা জসিম গতকাল সকালে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আলীগঞ্জ বাজারে দলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে আঘাতের চেষ্টা করেন। এ সময় বাজারে ব্যবসায়ীরা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
ধুলখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কালাম বেপারী বলেন, সভাপতি মাওলানা জসিমের সঙ্গে তার কোন বিরোধ নেই। তবে মাওলানা জসিম উদ্দিন কিছুদিন যাবত মানসিকভাবে ভারসাম্য হারিয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।
ঘটনাস্থলে পরিদর্শনকারী হিজলা থানার উপ-পরিদর্শক মো. খলিলুর রহমান জানান, তারা কাউকে আটক করেননি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
বিডি প্রতিদিন / ১১ আগস্ট, ২০১৭ / তাফসীর