আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। কোনটাকেই অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বঙ্গবন্ধু দেশে স্বাধীন করেছিলেন বলেই একজন বাঙালি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সেনা প্রধান, পুলিশ প্রধানসহ বিভিন্ন জায়গায় আসীন হয়েছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন না করলে পাকিস্তানিদের গোলামী করতে হতো। কিন্তু যারা মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান খাটো করার অপ্রচেষ্টা করে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় আদৌ বিশ্বাস করে কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে। তারা পাকিস্তানের প্রেতাত্মা।
শুক্রবার বিকেলে শরীয়তপুর সখিপুরের চড়সেনশন, চড়কুমারী, আরশিনগর, বিএমখালি, উত্তর তারাবনিয়া ও সখিপুর সদরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পৃথক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় বাঙালিরা এখন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা-বাণিজ্যের মালিক হয়েছেন। দেশ স্বাধীনের আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি শিল্পপতি বলতে তেমন কেউ ছিল না। তখন এই ভূ-খণ্ডে যেসব কল-কারখানা ছিল তার প্রায় সবই পশ্চিম পাকিস্তানিদের।
তিনি বলেন, দেশে কিছু লোক আছেন- যারা সব সময়ই জাতির সামনে বিকৃত ইতিহাস তুলে ধরার অপচেষ্টা চালান। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ২১টি বছর বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালানো হয়। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়েও বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে বলেন, কোন ব্যক্তির একক প্রচেষ্টায় দেশ স্বাধীন হয়নি। কিন্তু যার একক উদ্যোগ, প্রেরণা এবং সাংগঠনিক শক্তি এর নেপথ্যে ছিল তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এসময় সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্লা, আওয়ামী লীগ নেতা ডা. শামসুজোহা রতন, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জিতু মিয়া বেপারি, মোজাম্মেল মোল্লা, জসিম মাস্টার, মানিক সরদার, ইউনুচ সরকার, খালেক খালাসী, কাওছার আহমেদ ত্বর্কি, ছাত্রলীগ নেতা রাসেল আহমেদ পলাশ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/১১ আগস্ট ২০১৭/আরাফাত