বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মায়ের কোল থেকে নবজাতক চুরির ঘটনার প্রায় ২ ঘণ্টা পর নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ড থেকে ওই নবজাতককে চুরির ২ ঘণ্টা পর নগরীর কাউনিয়ায় নানীর বাসা থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় নবজাতকের নানী ও খালাকে পুলিশ আটক করলেও নবজাতকের মায়ের কোন অভিযোগ না থাকায় কোন আইনী ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
কোতয়ালী মডেল থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানান, তিন বছর আগে হিন্দু ধর্মের অনুসারী এক যুবকের সাথে প্রেম করে বিয়ে করে ওই হাসপাতালের পোষ্ট অপারেটিভ ইউনিটের কর্মচারী (চুক্তি ভিত্তিক) ফারজানা আক্তার। তাকে বিয়ের পর ওই যুবক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জীবন খান নাম ধারন করলেও তাদরে বিয়ে মেনে নেয়নি ফারজানার পরিবার। শুরু থেকেই তারা স্বামী জীবনকে তালাক দেয়া ও সন্তান নষ্ট করার জন্য ফারজানার উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
গত ৭ আগস্ট ফারজানা প্রসব যন্ত্রণায় মেডিকেলের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। গত বুধবার রাতে কন্যা শিশুর জন্ম দেয় ফারজানা। শিশু সন্তান জন্ম দেয়ার পর থেকে ফারজানার মা ফাতেমা বেগম, বোন নদী, আকলিমা, নূপুর, লিলি এবং ভগ্নিপতি সুমন নবজাতককে বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করে। এতে ফারজানা রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে মা ফাতেমা, বোন নদী, লিলি এবং আকলিমা ওই নবজাতককে লুকিয়ে ফেলে। খবর পেয়ে তারা ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালামের সহযোগিতায় নানী বাড়ি কাউনিয়া থেকে নবজাতককে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় নবজাতকের নানী ফাতেমা বেগম ও খালা নুপুর বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
তবে ফারজানা বিষয়টি পারিবারিক দাবি করে থানায় কোন অভিযোগ না দেয়ায় পরে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/১১ আগস্ট ২০১৭/হিমেল