শরণখোলায় স্ত্রী-সন্তানের হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

বাগেরহাটের শরণখোলায় একই সাথে স্ত্রী-সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টি যে একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড তা এখন এলাকাবাসী কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ঘটনার পর পরই নিহত সম্পা রাণীর স্বামী অপূর্ব ওরফে অপু কর্মকার ইন্ডিয়া পালিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মনে এমন ধারণার সৃষ্টি হয়।  এদিকে, নিষ্ঠুর এ হত্যাকান্ডের মূল হোতা ঘাতক অপু কর্মকারকে আটক ও তার ফাঁসি দাবিতে তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার দুপুরে কলেজের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে শিক্ষক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দসহ কয়েকশ’ ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল হক ফিরোজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফরিদ খান মিন্টু, সাউথখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু রাজ্জাক আকন, আওয়ামী লীগ নেতা শামছুল হক রিপন, শিক্ষকনেতা শহিদুল ইসলাম খান, স্কুলছাত্রী চন্দ্রিকা রাণী ও জান্নাতুল বুসরা তুবা।

বক্তারা বলেন, অপু কর্মকার একজন নেশাখোর। সে মদ, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক সেবন করতো। তা ছাড়া সে পরকিয়ায় আশক্ত ছিলো। একারণে স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে ওই পাষন্ড পালিয়ে গেছে। কিন্তু ঘটনার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো কোনো রহস্য উদ্ধার করতে পারেনি। আমরা পলাতক অপুকে দ্রুত গ্রেফতার এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

এব্যাপারে শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল বলেন, শম্পার স্বামী ঘটনার পরই ইন্ডিয়া পালিয়ে গেছে। গত দু’দিন আগে (১১ আগস্ট) অপু ইন্ডিয়ান একটি নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে বলে, সে ঘটনার দিন তার স্ত্রীকে শুধুমাত্র বকা দিয়েছে। কিন্তু সে হত্যা করেনি। বিষয়টি অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে। তবে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সঠিক কিছু বলা যাচ্ছেনা।

উল্লখ্য, গত ৮ আগস্ট বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ী বাজারে অপু কর্মকারের ঘরের মধ্য থেকে তার স্ত্রী শম্পার রাণী (২৫) ও শিশু পুত্র অরণ্য কর্মকারের (৪) গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় অপু কর্মকারের ২৮ দিনের নবজাতক অর্ণবকেও গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস দেওয়া জীবিত উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় শরণখোলা থানায় পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকে শম্পা রাণীর স্বামী সাউথখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ তাফালবাড়ী গ্রামের লালমোহন কর্মকারের ছেলে অপূর্ব ওরফে অপু কর্মকার (৩৫) পলাতক রয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/১৩ আগস্ট ২০১৭/হিমেল