নওগাঁর গত তিনদিনের টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির তোরে আত্রাই নদীর পানি বিপদ সীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে আত্রাই ও মান্দা উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আত্রাই নদী ছাড়াও যমুনা নদীতেও বাড়ছে পানি।
নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে আত্রাই ও মান্দা উপজেলার আমন চাষী কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কোনোভাবেই যেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ফসলহানি না হয় এজন্য কড়া নজরদারি রাখছেন উপজেলা প্রসাশন। ইতোমধ্যেই আত্রাই উপজেলার মনিয়ারী, ভোঁপাড়া, বিশা, পাঁচুপুর ও শাহাগোলা ও মান্দা উপজেলার কৃষকরা আমন ধান রোপন প্রায় সম্পন্ন করেছে। গত তিনদিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে হঠাৎ করে আত্রাই নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে নাজুক পরিস্থিতি রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের। এজন্য কৃষকরাও রয়েছে চরম আতঙ্কে।
আত্রাই উপজেলার উদনপৈ গ্রামের ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির কারনে আমরা পানিবন্দী হয়ে পড়েছি। আমাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
আরেক ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ মল্লিক বলেন, ২০১৫ সালে উপজেলার ফুলবাড়িতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেলেও তা আজও সংস্কার করা হয়নি। এটি এখন এলাকাবাসীর জন্য মরণ ফাঁদ হয়েছে।
আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোখলেছুর রহমান বলেন, আত্রাইয়ের বন্যা পরিস্থিতি আমরা নিবিরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সকল জনপ্রতিনিধিদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। কোন জায়গায় যেন বাঁধ ভেঙে জনগণের জানমালের ক্ষতি না হয় এজন্য আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, নদীগুলোতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে পানি। তাই বাঁধগুলো ভাঙন রক্ষায় ফেলা হচ্ছে বালুর বস্তা। কখন কি হয় তা বলা মুশকিল।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ আগস্ট, ২০১৭/মাহবুব