কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে গেছে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ঝুলন্ত সেতুটি। ভারি বর্ষণে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে হ্রদের পানি। প্রায় এক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে ঝুলন্ত সেতুর পাটাতন। তাই সেতুর উপর চলাচলের নিষিদ্ধ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে ডুবে যাওয়া সেতু নিয়ে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় পর্যটন ব্যবসায়ী। দুর্যোগে ঘুরে দাঁড়াতে পারছেনা পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িতরাও।
রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, পর্যটন সেতুটি হ্রদের পানিতে ডুবে যাওয়ার পর আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের নির্দেশে সেতুর উপর চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পানি না কমা পর্যন্ত এখন থেকে ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। তবে পানি কমে গেলে প্রয়োজনীয় সংস্কারে পর সেতুটি আবারও উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। কিন্তু সেটা সময়ের বেপার। তবে ব্রিজটি কেউ দেখতে চাইলে দূর থেকে দেখতে পারবেন।
অন্যদিকে টানা তিন মাস ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রাঙামাটিতে পর্যটকের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো নয়। তাই এবার ঈদুল-আযহার ছুটিতে রাঙামাটি পর্যটক আসবে এমন আশা করেছিল পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাই আগে থেকে প্রস্তুত করা হয় পর্যটন কমপ্লেক্স। কিন্তু পর্যটকদের মূল আকর্ষণ রাঙামাটি পর্যটন ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যাওয়ার কারণে হতাশ পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত স্থানীয় হোটেল মালিকরা।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি হোটেল মালিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নেছার জানান, টানা তিন মাস ধরে স্থবির থাকার পর হয়তো ঈদুল আযহাকে ঘিরে রাঙামাটি আবারও প্রাণ চঞ্চল হয়ে উঠত। কিন্তু সে আশাও ডুবে গেল কাপ্তাই হ্রদের পানিতে। এমন দুর্ভোগ আরও কতদিন থাকবে জানি না। ব্যবসার মন্দার কারণে হোটেল কর্মচারীদেরও বেতন দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্থবির হয়ে পড়েছে রাঙামাটির পর্যটন শিল্প। প্রথমে ঘূর্ণিঝড় মোরা তাণ্ডব। এরপর একের পর এক পাহাড় ধস। তছনছ করে দিয়েছে পুরো রাঙামাটি জেলাকে। এখনো কাটেনি রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা। অন্যদিকে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে রাঙামাটির বেশিরভাগ গ্রাম। মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে এখন রাঙামাটির মানুষ।
বিডি প্রতিদিন/১৩ আগস্ট ২০১৭/আরাফাত