বাগেরহাটের রামপালে কার্গো শ্রমিকদের উপর ড্রেজার শ্রমিকদের হামলার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে দিনভর মোংলা- ঘষিয়াখালি আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেলে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এই সময়ে ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রটোকলভূক্ত আন্তর্জাতিক চ্যানেল দিয়ে সব ধরনের কার্গো, অয়েল ট্যাঙ্কার ও বার্জ চলাচল বন্ধ থাকে। কার্গো-ড্রেজার মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে রামপাল উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমঝোতা বৈঠকের পর সন্ধ্যায় পুনরায় নৌচলাচল শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের মংলা উপজেলা শাখা সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে মোংলা- ঘষিয়াখালি আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেলের রামপাল উপজেলার বাঁশতলি এলাকা দিয়ে মংলা বন্দর থেকে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল বোঝাই ফ্লাই আ্যাশসি নিয়ে এমভি গ্লাভ- ৭ নামের একটি কার্গো ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এসময়ে ওই কার্গোটির সাথে নৌ চ্যনেলটিতে খনন কাজে থাকা বাংলাদের অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ) মাতৃবাংলা ড্রেজিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি ড্রেজারের ধাক্কা লাগে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ড্রেজারের শ্রমিকরা কার্গোতে উঠে ভাংচুর চালায় ও শ্রমিকদের মারপিট করে। এতে কার্গোর মাস্টার আজিজার রহমানসহ আরও চারজন আহত হয়। এঘটনার পর বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যসোসিয়েশনের মংলা উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে রবিবার সকাল থেকে মোংলা- ঘষিয়াখালি আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেলে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধের ডাক দেয়। সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের নৌ চলাচল।
রামপাল থানার ওসি বেলায়েত হোসেন জানান, সন্ধ্যায় রামপাল উপজেলা প্রশাসনের সাথে কার্গো ও ড্রেজার মালিক- শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েসনের বৈঠকে সমঝোতা হওয়ার পর পরই মোংলা- ঘষিয়াখালি আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেলে সব ধরনের নৌ চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
বিডিপ্রতিদিন/ ১৩ আগস্ট, ২০১৭/ ই জাহান