ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে পশুর হাটসহ দিনাজপুরের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে নিয়মিত বসছে কোরবানির পশুর হাট। কিন্তু বড় গরুর তুলনায় ছোট ও কম দামের গরুর চাহিদা বেশি। আবার গরু মালিকেরা বলছেন, হাটে গত বছরের তুলনায় ক্রেতা এবার অনেক কম। এ কারণে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের পশু।
গরু ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই অঞ্চল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় কৃষকদের নতুন করে আমন রোপন করতে হচ্ছে। এই কারণে কৃষকদের হাতে টাকা নাই। আর গ্রামাঞ্চলের কোরবানির হাটে অধিকাংশ ক্রেতা কৃষক। এই কারণে কৃষকেরা অল্প দামে ছোট গরু কোরবানি দেয়ার জন্য নির্ধারণ করছে। ফলে হাটে ছোট ও কম দামের গরুর চাহিদা অনেক বেশি।
ফুলবাড়ী উপজেলার প্রধান পশু হাটে বিক্রি করতে আসা আবুল হোসেন বলেন, গত বছর দুটি গরু এক লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলাম। ওই একই গরু এ বছর এক লাখ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার বেশি দাম কেউ বলছেন না। অথচ এই গরু দুটি সে এক বছর থেকে তৈরি করেছে কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য।
একই কথা বলেন পশু বিক্রি করতে আসা সামছুল আলম। সেও একটি বড় গরু বিক্রি করতে এসেছে কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী দাম পাচ্ছে না।
হাটে গরু বেচা-কেনা করার সহযোগীতাকারী আব্দুর গফুর বলেন, হাটে যে পরিমাণ গরু আমদানি হয়েছে। সেই পরিমাণ ক্রেতাও আছে। কিন্তু বড় গরুর ক্রেতা কম হওয়ায়, বেশি দামি গরু তেমন বিক্রি হচ্ছে না। অথচ ছোট ও কম দামের গরুই বেশি বিক্রি হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার