বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার সিমান্তবর্তী হিজলা উপজেলার চরপত্তনী ভাংগা এলাকায় মিজানুর রহমান নামে এক যুবককে হত্যা প্রচেষ্টা মামলার আসামি ও তার ঘনিষ্ট বন্ধু ইমন মৃধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার সন্ধ্যায় বন্ধু মিজানকে কুপিয়ে আহত করা মামলার আসামি ইমনের (২৫) লাশ সোমবার সকালে মুলাদী লঞ্চঘাট সংলগ্ন নয়া ভাঙ্গুলী নদী থেকে উদ্ধার করে মুলাদী থানা পুলিশ।
ইমন মুলাদী উপজেলার চরকালেখা গ্রামের আজিজ মৃধার এবং মিজান একই উপজেলার চরকালেখা গ্রামের রশিদ বয়াতির ছেলে। তারা দুইজন ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় মুলাদীর সিমান্তবর্তী চরপত্তনী ভাংগা এলাকায় মিজান ও ইমনের মাঝে মারামারি ও কোপাকুপি হয়। এক পর্যায়ে একে অপরকে নদীতে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে। ইমন নদীতে পড়ে গেলে মিজানের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ সময় মিজান তাকে কুপিয়ে মোটরসাইকেল ফেলে ইমন পালিয়ে গেছে বলে প্রচার করে। হিজলা থানা পুলিশ ইমনের মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মিজান হিজলা থানায় হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দায়ের করে।
এর দুইদিন পর সোমবার সকালে মুলাদী লঞ্চঘাট সংলগ্ন নয়াভাঙ্গুলী নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরণ করে। ইমনের লাশের বুকের বাম পাশে জখমের চিহ্ন রয়েছে। ইমনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুলাদী থানার ওসি মো. মতিউর রহমান।
হিজলা থানার এসআই মহিউদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে মিজান হাসপাতাল থেকে মুলাদী থানায় গিয়ে ইমনের লাশ সনাক্ত করে। দুই দিন আগের লাশটি পঁচে গেছে। মিজানের অসংলগ্ন কথাবার্তায় তাকে নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে হিজলা থানার ওসি এসএম মাসুদুর রহমান জানান, শনিবার সন্ধ্যায় দুই জনের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ইমন নদীতে পড়ে গেলেও বিষয়টি গোপন রাখে মিজান। পাশাপাশি মিজানের পরিবার বাদী হয়ে ইমনের বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টার একটি মামলা দায়ের করে। ইমন মৃধা নিখোঁজ থাকলেও তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন জিডি করা হয়নি। এ কারণে পুলিশের তালিকায় পলাতক আসামি ছিলো ইমন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় মিজানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন