আর মাত্র কয়দিন পর ঈদ-উল-আযহা। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন পাহাড়ের গরু ব্যবসায়ীরা। পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে রঙ বে রঙ্গের গরু। দেখতেও বেশ মোটা তাজা। তবে দামও বেশি। সাধারণত এসব গরু বন-জঙ্গলে লতাপাতা খেয়ে বড় হয়ে উঠে। তাই গরুর স্বাস্থ্য ধরে রাখতে কোন রকম কৃত্রিম ওষুধও প্রয়োগ করতে হয় না তাদের। এসব পাহাড়ের গরুর চাহিদাও অনেক বেশি। তাই বেশি লাভের আশায় ব্যবসায়ী গরু সংগ্রহ করছেন রাঙামাটির দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চল থেকে। তবে স্থানীয় চাহিদা না মিটিয়ে এসব গরু যাচ্ছে সমতলে। তাই এখনো জমেনি রাঙামাটি পশুর হাটগুলোও। রাঙামাটি পশুর হাটগুলোতে চাহিদা অনুযায়ে গরু মিলছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
জানা গেছে, রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই, বরকল, লংগদু, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও নানিয়ারচর উপজেলা থেকে প্রতিদিন আনা হচ্ছে শত শত পাহাড়ি গরু। রাঙামাটি শহরে তিনদিন আগে গরুর হাট প্রস্তুত করা হলেও এখনো জমেনি। তবে হাটগুলোতে ক্রেতাদের ভীড় থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী মিলছেনা পছন্দের গরু। স্থানীয়ভাবে বেচাকেনা জমেনি। সোমবার বিকেল পর্যন্ত সব মিলিয়ে খুব বেশি হলে ৫-৬টি গরু বিক্রি হয়েছে। তাও সুলভে। কারণ বিভিন্ন দালাল চক্রের কারণে পাইকারি ব্যবসায়ীরা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ জেলার বাইরে।
রাঙামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. জামাল উদ্দীন জানান, রাঙামাটি শহরে এবার পশুহাট বসানো হয়েছে মাত্র দুইটি। পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে বসানো হয়েছে পৌর ট্রাক টার্মিনালের পশুর হাট এবং জনগণের সুবিধার জন্য নিজেদের উদ্যোগে রিজার্ভ বাজারের শুটকি পল্লীতে পশুর হাট বসিয়েছে রিজার্ভবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ে নিজেদের সুবিধামতো এ হাটে পশু কেনাবেচা করতে পারবে। সেখানে দালালদের কোনো রকম উৎপাতের সুযোগ থাকবে না। এসব হাটে সরাসরি ক্রেতা ও বিক্রেতারা পশু কেনাবেচা করতে পারে।
স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী মো. জমির উদ্দীন জানান, রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে গরু আসতে শুরু করেছে। আজকালের মধ্যে আরও প্রচুর গরু আসবে। তবে স্থানীয়ভাবে বেচাকেনা জমছেনা। কিছু কিছু ক্রেতা দাম যাচাই করতে আনাগোনা করলেও গরু কিনছেন না। তবে দাম নাগালের বাইরে নয়।
অন্যদিকে অভিযোগ রয়েছে, রাঙামাটি কোরবানীর পশুর হাটগুলোতে দৌরত্ব বেড়েছে দালাল চক্রের। তাই দালাল চক্র ও ও জালনোট চিহ্নিত করার জন্য পুলিশের বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানান রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. সাঈদ তারিকুল হাসান। তিনি বলেন, আসন্ন কোরবানী ঈদকে ঘিরে বেপক পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে পশুর হাটে জালনোট চিহ্নিত করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে ৮টি মেশিন দেওয়া হয়েছে। দালাল চক্রের দৌরত্ব কমানোর জন্য সাদা পোশাকেও বিশেষ পুলিশের দলও সর্বাক্ষণিক থাকছে পশুর হাটে। স্থানীয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধাতে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন