বগুড়ার কুরবানীর হাটে পশুর আমদানি প্রচুর হলেও সে তুলনায় ক্রেতা নেই। কম ক্রেতা নিয়েই বগুড়ার হাটগুলোতে আগের থেকে কোরবানীর পশু বিক্রি বেড়েছে তিনগুণ। বগুড়াসহ উত্তরের জেলাগুলোতে বন্যার কারণে প্রথম দিকে ক্রেতা একেবারেই কম থাকলেও সোমবার থেকে বগুড়ার হাটে ক্রেতা এবং কোরবানীর পশুর কেনাবেচা জমে উঠেছে।
ঈদের খুব বেশি দেরি না থাকায় ক্রেতা বিক্রেতা উভয় কেনাবেচায় মত্ত হয়েছেন। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা গরু ক্রয় করে এক জেলা থেকে অন্য জেলার হাটে বিক্রয় করছে। বগুড়ার হাটগুলোতে চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুরের ব্যবসায়ীদের গরু ক্রয় করতে দেখা গেছে।
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ মহাস্থান গরুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, দেশী জাতের প্রচুর গরুর আমদানি হয়েছে। হাটে উন্নত জাতের বড় আকারের গরুও রয়েছে। আমদানী হলেও ক্রেতা সে তুলনায় কম। ক্রেতা কম থাকার কারণে চাহিদা মত দামে বিক্রি করতে পারছেন না অনেক ব্যাপারী। অনেক গরু ব্যবসায়ীই গরু ফেরত নিয়ে গেছেন। কিছু গরু ব্যবসায়ী এই সুযোগে গরু ছাগল ক্রয় করে চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
ঢাকাসহ অন্যান্য জেলাগুলোর ব্যসায়ীদের কাছে তারা গরু বিক্রয় করবেন। এসব ব্যবসায়ীরা জানান, এ অঞ্চলের দেশী জাতের গরুগুলো স্বাস্থ্যবান ও উন্নত। এ কারণে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামে উত্তরাঞ্চলের গরুর কদর রয়েছে। ৪০ হাজার থেকে লাখ টাকার দেশী জাতের গরু উঠেছে মহাস্থান হাটে। স্থানীয়ভাবে লালন পালন করা এগুলোর দাম লাখের উপরে। ৭ থেকে ১০ মন ওজনের এসব গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে দেড় লাখ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
গরুর পাশাপাশি ছাগলেরও আমদানী হয়েছে হাটে। তবে গরুর হাটের মতই এখানেও ক্রেতা কম।
বগুড়ার মহাস্থান হাটের ইজারদার আলহাজ্ব আজমল হোসেন ও পরিচালক মোশারফ হোসেন জানান, বিপুল পরিমান গরু ছাগল হাটে উঠলেও ক্রেতা কম। তবে শেষের দিকে এসে ক্রেতা ও কোরবানির পশু বেড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২৮ আগস্ট ২০১৭/হিমেল