টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পরকিয়া সন্দেহে নাজমা বেগম নামের এক নারীর মাথার চুল কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘাটাইল পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়া গ্রামের বীনা বেগম, জেরিন ও লাবনী নামে তিন মহিলার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে নির্যাতিত নারী। সোমবার দুপুরে ঘাটাইল পৌরসভার ৭ ওয়ার্ডের খরাবর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযুক্ত তিন নারীকে আটক করেছে।
পুলিশ ও নির্যাতিতা জানায়, স্বামী সৌদি প্রবাসী ইমরান হোসেনের বাড়ি সখিপুর উপজেলার বহেরাতৈল যুগির কোফা গ্রামে। তার বাবার বাড়ি ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের শরিফবাড়ি গ্রামে। নাজমা-ইমরান দম্পতির দুটি সন্তান ছিল। সন্তান দুটির অকাল মৃত্যুতে একা হয়ে পরে সে। পরে স্বামীর সহযোগীতায় দুই বছর আগে ঘাটাইল পৌরসভা এলাকার খরাবর গ্রামে একটি ভাড়া করা বাসায় বাস করে আসছে।
সোমবার দুপুরে নাজমার সাথে বাবলুর পরকিয়া সম্পর্ক আছে বলে তাকে শাসাতে বাবলুর স্ত্রী বীনা বেগম, তার মেয়ে জেরিন ও ভাতিজী লাবনী নাজমার ভাড়া করা ওই বাসায় যায়। এক পর্যায়ে তারা নাজমাকে ঘরে আটকে রেখে মারধর করে এবং জোড় করে মাথার চুল কেটে দেয়। এসময় নির্যাতিতার চিৎকারে প্রতিবেশী মনোয়ারা, আমিনা বেগম, নাহিদা, রতনসহ আরো অনেকে এগিয়ে এসে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত তিন নারীকে আটক করে। আটকের খবর পেয়ে তার স্বজনরা স্থানীয় দুই পৌর কমিশনারের সহায়তায় ঐ তিন নারীকে জোড় করে নিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘাটাইল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিত নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে অভিযুক্ত তিন নারীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাবলুর স্ত্রী বীনা বেগম, ভাতিজী জেরিন ও লাবনীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার উপ-পরিদর্শক আফজাল হোসেন জানান, অভিযুক্ত তিন নারীকে আটক করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/২৮ আগস্ট ২০১৭/হিমেল