হিন্দু ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ পূজা শারদীয় দূর্গাপূজা। প্রতিবছর এ দিনটির জন্য অপেক্ষা করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। এ বছর জেলায় ৫৬৪ পূজা মণ্ডপে শারদীয় দূর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে। এখন চলছে রং তুলির কাজ। একই সাথে প্যান্ডেল ও সাজসজ্জা করতে ব্যস্ত সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হিন্দু ধর্মালবম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপনে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সুভাষ চন্দ্র ঘোষ জানান, এ বছর সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১০৫টি, তালায় ১৭৯টি, কলারোয়ায় ৪০টি, কালিগঞ্জে ৫২টি, শ্যামনগরে ৬৪টি, আশাশুনিতে ১০৪টি ও দেবহাটায় ২০টি মণ্ডপে দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে।
পরমানন্দকাটি সার্বজনীন পূজা মণ্ডপের প্রতিমা শিল্পী কালিপদ দাস জানান, সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের পরমানন্দকাটি সার্বজনীন পূজা মণ্ডপে চলছে দুর্গোৎসবের কাজ। দু'মাস টানা কাজ করে একে একে ১১১টি প্রতিমা গড়েছেন কারিগররা।
তিনি আরও বলেন, জেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রতিমা তৈরি হচ্ছে পরমানন্দকাটি সার্বজনীন পূজা মণ্ডপে। এই মণ্ডপে ধান, সাবু, চুমকি ও মাটির পৃথক চারটি দুর্গা প্রতিমাসহ ১১১টি প্রতিমা তৈরি হয়েছে।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সত্যজীত ঘোষ জানান, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরা জেলার ৫৬৪টি মণ্ডপে চলছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি। মণ্ডপে-মণ্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা। আশা করছি, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে এবছর উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব পালিত হবে। এই উৎসব রূপ নেবে সম্প্রীতির সেতুবন্ধনে।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন পিপি এম (সেবা) বলেন, জেলা পুলিশ পূজা মণ্ডপগুলোকে সাধারণ, গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ-এই তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মণ্ডপগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও গ্রাম পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।
বিডি প্রতিদিন/১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ফারজানা