নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জান্নাতুল ফেরদাউস (১৯) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে ঘরের ভেতর থেকে ওই গৃবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে দেবর মিজান (৩০), শুভ (২৮) এবং শাশুড়ি দুলালী বেগম (৫৫) পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্লাহপুর ইউপির মহিষপুর গ্রামের রৌশন আলী মুন্সী বাড়ির আবুল হোসেনের মেয়ের সাথে একই উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের মিয়াপুর গ্রামের কুমিল্লা সেনাবাহিনীর অধীনে বেসরকারীভাবে কর্মরত বাবুর্চি জয়নাল মিয়ার ছেলে মনির হোসেনের বিয়ে হয়। মনির হোসেনও রাজশাহী সেনাবাহিনীর অধীনে বেসরকারীভাবে টেকনিক্যাল বিভাগের পাইপ ফিটিংসের কাজ করে।
বিয়ের পর থেকে ছেলের অজান্তে ভাই ও মা মিলে গোপনে যৌতুক চাইতো জান্নাতের পরিবারের কাছে। প্রায় সময় যৌতুকের বিষয় নিয়ে শাশুড়ির সাথে জান্নাতের ঝগড়া-বিধাদ হতো বলে জানায় মেয়ের মামা নজরুল ইসলাম নজির।
মেয়ের মামা জানান, এর আগেও মনির হোসেন আরেকটি বিয়ে করেছিলো। তখনও শাশুড়ি দুলালী বেগমের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ১৫ দিন পর মনির হোসেনকে রেখে পূর্বের স্ত্রী চলে যায়।
এদিকে লাশ থানায় আনার পরে পুলিশ লাশের ছবি তুলতে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা। ধারনা করা হচ্ছে, লাশের গায়ে আঘাতের চিহৃ থাকায় পুলিশ তা গোপন রাখতে চাইছে। পরে লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এছাড়া এ ঘটনায় জান্নাতুল ফেরদাউসের বাবা আবুল হোসেন (৬৫) বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করতে গিয়েও বিড়ম্বনায় পরেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এদিকে হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং বিচার দাবি স্বামী মনির হোসেন।
বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ সাজেদুর রহমান সাজিদ জানায়, যেহেতু লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে-তাই আপাতত একটি ইউডি মামলা রুজু হয়েছে। ময়না তদন্তের পর নির্যাতনের কোনো চিহৃ বা অভিযোগ থাকলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হিমেল