নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নে জাহাজ মারা গ্রামের কামাল মোল্লার মেয়ে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু ওয়াদুদ এর হস্তক্ষেপে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বুধবার রাতে ঐ বিয়ে বন্ধ করে দেয়।
জানা যায়, জাহাজ মারা রেডক্রিসেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। বয়স ১৩ বছর। এদিকে পশ্চিম জাহাজ মারার বেলাল ভুইয়ার ছেলে কাভারভ্যান চালক রাজুর সাথে গত মাসের ১০ তারিখে বিয়ের ফর্দনামা হয়। বুধবার ছিল বিয়ের দিন। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে তারা ঐ ছাত্রীকে চট্টগ্রাম নিয়ে রাজুর সাথে বিয়ের প্রস্তুতি নেয় দুই পরিবার।
এ খবর মিড়িয়া কর্মীর কাছে পৌছালে তাৎক্ষণিক ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করেন সাংবাদিকরা। চেয়ারম্যান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আবু ওয়াদুদকে জানিয়েছি। জড়িতরা আমার দলীয় লোক হওয়ায় আমি কিছুই করতে পারবোনা। আপনার ইউএওকে জানান।
পরে সাংবাদিকরা ইউএনও এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে ঐ ছাত্রীর বাবা কামাল মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার মেয়ের বিয়ের ফর্দ হয়েছে। কিন্তু আমি ছেলেদেরকে বলেছি এখন বিয়ে দেবনা।
এদিকে রাজুর সাথে আলাপকালে সে জানায়, আমি বিয়ে করবো পারলে ঠেকান। ঠিক তাই হলো। অবশেষে সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আবু ওয়াদুদ এর নির্দেশে পুলিশ ঘটনাস্থলে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। এতে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পায় ঐ ছাত্রী।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন