দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করে সভাপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ তোলায় বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টুসহ নয়জনকে দল থেকে অব্যহতি দিয়েছে জেলা কমিটি।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অন্যরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক টিপু, বিজ্ঞান ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মামুনুর রহমান মামুন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সাহার আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুস সালাম, আবদুস সোবহান, উপজেলার সদস্য ও তাহেরপুর পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক মেয়র আবুল কালাম আজাদ ও যোগীপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নয়জনকে তাদের স্ব-স্ব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা অনুমোদনের জন্য সুপারিশ আকারে কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে ১১ জনকে কারণ দর্শনের নোটিশ দেওয়া হয়। গত ১২ অক্টোবর জাকিরুল ইসলাম সান্টুসহ ১১ জন কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেন। পরের দিন ১৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে উপস্থাপন করে জেলা আওয়ামী লীগ। ওইদিন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে রাজশাহীর নেতৃবৃন্দের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কেন্দ্রের শীর্ষ নেতারা জেলা কমিটিতে ১১ জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে সুপারিশ আকারে কেন্দ্রে পাঠাতে নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে কেন্দ্র থেকে কোন নিদের্শনা না যাওয়া পর্যন্ত তাদের নামে দলীয় চিঠি ইস্যু না করতেও জেলা কমিটিকে নির্দেশনা দেয়। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা কমিটির সদস্য জাকিরুল ইসলাম সান্টুকে নির্বাহী কমিটির সভায় ডাকা হয়নি। তবে ১১ জনের মধ্যে দুইজন ওই সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন না। এজন্য তাদের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বাগমারা আওয়ামী লীগের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে সভাপতির জঙ্গিবাদ মদদদানসহ নানা অভিযোগ তোলা হয়। ওই সংবাদ বাগমারা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টুসহ ১১ জন নেতা অংশ নেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন