ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজিপুরের চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় পর্যন্ত কয়েকটি পয়েন্টে অন্তত ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের ৬৫ কিলোমিটার সড়কেই অতিরিক্ত যানবাহন ও বৈরি আবহাওয়া এবং রাস্তায় খানাখন্দের জন্য যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে। ফলে ২ ঘণ্টার রাস্তা পাড়ি দিতে ৪/৫ ঘণ্টা সময় বেশি সময় লাগছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বর্ষণে কারণে মহাসড়কের খানাখন্দ অনেকটা বেড়ে গেছে। রাস্তার অনেক জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া আর অবিরাম বর্ষনের ফলে পানি রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভারি যানবাহনগুলো চলাচল করতে গিয়ে রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ছে। পুলিশ রেক্রার দিয়ে বিকল যানবাহনগুলো সরিয়ে নিলেও রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে, মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তার করুণদর্শা। ফলে এ অংশে ১০ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে ১ ঘণ্টা সময় লাগছে। এছাড়া রাবনা শহর বাইপাস, করটিয়া বাইপাস, নাটিয়াপাড়া, জার্মুকী, পাকুল্লা, আগধল্লা, কদিমধল্লা, মির্জাপুর ও ধেরুয়া রেলক্রসিং এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কটি চারলেনে উন্নিত করার কাজ চলছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে মহাসড়কের সদর উপজেলার রসুলপুর এলাকা থেকে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় কয়েকটি স্থানে খানাখন্দে পানি জমে থাকায় অনেকটা বিঘ্ন ঘটছে যান চলাচলে।
টাঙ্গাইল জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক এশরাজুল হক জানান, বৈরি আবহাওয়ার কারণে রাস্তায় চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের করণে ধীর গতি রয়েছে। এছাড়া মহাসড়কে খানাখন্দর বেশি থাকায় এবং সেই খানাখন্দ ও গর্তে ভারি যানবাহন পড়ে বিকল হয়ে যাচ্ছে। সে বিকল যানবাহনগুলোও সরিয়ে নিতে সময় লাগছে।
অন্যদিকে গত দুইদিনের ভারি বর্ষণে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার অধিকাংশ সড়কই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বাড়ি ঘরে উঠেছে পানি। অবিরাম বর্ষণে কেউ বাড়ি ঘর থেকে বের হতে পারছে না। এতে করে মানুষ চরম দুর্ভোগে সময় পার করছে। বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে দিনমজুররা। আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে তারা।
বিডি প্রতিদিন/২১ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত