চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার শীতকালীন সবজি ধনে পাতার চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। ফলে ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে ধনিয়া পাতা চাষে কৃষকদের মাঝে দিন দিন কদর বাড়ছে। বিঘা প্রতি ফলন হচ্ছে ১৪ থেকে ১৬ মণ। জেলার চরাঞ্চলে উৎপাদিত স্থানীয় জাতের এই ধনিয়া পাতার সুনাম সর্বত্র। দিন দিন তাই বাড়ছে ধনিয়া পাতার চাষও। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই এখন তা রপ্তানি হচ্ছে।
শীতকালীন বিভিন্ন সবজির মধ্যে স্বাদে, গন্ধে অতুলনীয় ও পুষ্টিতে ভরপুর ধনিয়া পাতা। প্রতি বর্ষা মৌসুম শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চলের জমিতে স্থানীয় জাতের এই ধনিয়া পাতার চাষ করে আসছে কৃষকরা। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ। তাই এবার জেলার নদী তীরবর্তী চরবাগডাঙ্গা, সুন্দরপুর, দেবিনগর, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় চাষ হয়েছে ধনিয়া পাতার।
তাতে ফলনও হয়েছে বেশ ভাল। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মঞ্জুরুল হুদা জানান, কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে নিতে মধ্যবর্তী ফসল হিসেবে ধনিয়া পাতা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। গত বছর জেলায় ৩৩৭ হেক্টর জমিতে ধনিয়া পাতার চাষ হয়। এবছর তা আরও বেড়েছে। অল্প পুঁজিতে লাভ বেশি হওয়ায়, আগামীতে ধনিয়া পাতা চাষে আরো আগ্রহী হচ্ছে প্রান্তিক চাষীরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চলে ধনে পাতা চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে, কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া দরকার বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বিডি প্রতিদিন/২০ ডিসেম্বর ২০১৭/হিমেল