কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সরকারি সহায়তার দুস্থ ভাতার (ভিজিএফ) অনলাইন কার্ড ও চাঁদা আদায় নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আব্দুল আজিজ (৩০) নামে স্থানীয় বিএনপি কর্মী এক যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর বাসস্ট্যান্ড বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ হত্যার ঘটনায় পুলিশ মাহাবুল মাস্টার (৫২) নামে বিএনপির এক কর্মীকে আটক করেছে। বুধবার রাতে হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মথুরাপুর কলেজপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে পলাশের (৩২) সঙ্গে আব্দুল আজিজের দীর্ঘদিন ধরে ভিজিএফ কার্ডের অনলাইন আবেদন ও চাঁদা আদায়কে ঘিরে বিরোধ চলছিল। বুধবার রাতে আজিজ ও বিজয় নামের অপর এক যুবক বাজার এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় পলাশের ছুরিকাঘাতে আজিজ নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজিজুরের পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান।
নিহত আব্দুল আজিজ স্থানীয় খেলাফত উদ্দীনের ছেলে এবং বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
ঘটনার রাতে আজিজ স্কুল বাজার এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
এদিকে হত্যার পরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনায় আটক মাহাবুল মাস্টার মথুরাপুর কলেজপাড়া এলাকার মৃত মৌলা বক্সের ছেলে। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
মথুরাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুরাত আলী সেন্টু বলেন, মাহাবুল মাস্টার আমাদের রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য। তবে তিনি কমিটির কোনো পদে নেই।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা জানান, ভিজিএফের কার্ডের অনলাইন আবেদন নিয়ে বিরোধ থেকেই এই হত্যা সংঘটিত হয়েছে। ঘটনার পরপরই র্যাব-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে মাহাবুল মাস্টারকে আটক করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুবিনা খাতুন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আটক ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ