কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে দিনাজপুরে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু-গুলো। গত ক’দিনের টানা শৈত্য প্রবাহ, ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডায় নাকাল হয়ে পড়েছে গবাদিপশুগুলো। এসব গবাদিপশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারিসহ কৃষকরা।
প্রকৃতির এমন প্রতিকূল আবহাওয়া জেকে বসেছে গবাদি পশু গুলোর ওপর। প্রতিনিয়তই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে হাঁস, মুরগি, গরু-ছাগলসহ গবাদিপশু। মাঠ পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম থাকা সত্বেও ছাগলে প্লেগরোগ (পিপিআর) হাঁস-মুরগি রানীক্ষেত রোগে মারা যাচ্ছে। তবে গরুগুলো কেবল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এনিয়ে বিপাকে খামারিসহ কৃষকরা।
বিভিন্ন উপজেলার হাসপাতালের তথ্য মতে, প্রতিদিন গড়ে ৩০-৪০ জন ভুক্তভোগী মানুষ তাদের পশুর চিকিৎসা নিতে আসছেন।
বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই খামারিরা গরুগুলো গোয়ালঘরে বেঁধে রেখেছেন। প্রচন্ড শীতে এসব পশুগলো শুকিয়ে গেছে। শীতের কবল থেকে রক্ষা করতে পশু গুলোকে চটের বস্তা জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। হাতে গোনা কিছু মানুষ তাদের ছাগলকে পুরাতন কাপড় পরিয়ে রক্ষার চেষ্টা করলেও অধিকাংশ ছাগলেরই যত্ন নিতে পারছে না। এসব কারণে পশু গুলো শীতকালীন নানা সমস্যায় ভুগছে।
পার্বতীপুরের চন্ডিপুর ইউপির জাহানাবাদ পুকুরপাড়া গ্রামের নুরুজ্জামান ও মিজানুর রহমান জানান, তারা নিজেরাই শীতে কাহিল। গরুগুলোকে রাতে চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। গোয়াল ঘরে আগুন জ্বালিয়ে তাপ দেয়ার পাশাপাশি গোয়াল ঘরের চারদিকে আটকে দেয়া হয়।
পার্বতীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের জানান, প্রচন্ড শীতে গবাদিপশু ও পক্ষীকুল প্রাণিগুলো ঝিমিয়ে পড়েছে। তিনি খামার মালিকদের শুকনো খাবার, গোয়ালে তাপের ব্যবস্থা রাখাসহ পশুর গায়ে চটের বস্তা জড়িয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। শীতের কারণে গড়ে দশভাগ ছাগল প্লেগরোগে, দশভাগ হাঁস-মুরগি রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পর্যাপ্ত পরিমান ভ্যাকসিন থাকলেও জনবল সঙ্কটের কারণে মাঠ পর্যায়ে শতভাগ সেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবে সচেতন কৃষক অফিসে এসেই সেবা নিচ্ছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন