সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পরকীয়া প্রেমের জের ধরে আত্মহত্যা করেছে এক গৃহবধূ। এক সন্তানের জননী শ্যামলী খাতুন (২৫)।
সোমবার গভীর রাতে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার বড় খলসী গ্রামে তার বাবার বাড়িতে আত্মহত্যা করে। সে কলারোয়া উপজেলার যুগিখালী গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী পলাশের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আত্মহননকারী শ্যামলীর স্বামী পলাশ বিগত প্রায় চার বছর ধরে মালয়েশিয়া প্রবাসী। এ সুযোগে প্রতিবেশী যুবক এক সন্তানের জনক শফিকুল ইসলামের সাথে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে শ্যামলী গর্ভবতী হয়ে পড়লে শফিকুল গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য শ্যামলীকে ওষুধ সেবন করায়। এর প্রতিক্রিয়ায় রক্তস্রাব শুরু হলে শ্যামলীর শ্বাশুড়ি বিষয়টি বুঝতে পেরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শফিকুলের সাথে তার (শ্যামলী) অবৈধ সম্পর্কের কথা শ্বাশুড়ির নিকট স্বীকার করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার এরশাদ আলী মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি মিমাংসা করে ধামাচাপা দেওয়ার লক্ষ্যে উক্ত গৃহবধূকে তার পিতার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন।
গৃহবধূ শ্যামলীর শ্বাশুড়ি জানান, প্রতিবেশি যুবক শফিকুলের সাথে তার পুত্রবধূর অবৈধ প্রণয় ও অন্তঃসত্ত্বা হওয়া এবং এ ঘটনার জেরে পিত্রালয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।
এ ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত শফিকুলের ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে কতিপয় ব্যক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারাই আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।
এ ঘটনার মিমাংসাকারী যুগিখালী ইউপি মেম্বার এরশাদ আলীর ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিডিপ্রতিদিন/ ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান