নারায়ণগঞ্জে নিহত সিএনজি চালক আজমেরী ওরফে আরিফ (২৫) হত্যা মামলার মূল আসামিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে বরিশালের কাজিরহাট থেকে মূল আসামি মানিক ওরফে মেন্টাল মানিককে (২৫) গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামিরা হল আল-আমিন (২৩) ও মো. রাব্বি (২৪)।
শনিবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-ক) মো. শরফুদ্দীন গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান ।
মো. শরফুদ্দীন জানান, ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১টায় নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল ইউটার্ন এলাকায় কয়েক যুবক যৌনকর্মী সোনালী নামে এক নারীর সঙ্গে 'অনৈতিক কর্মকাণ্ড' করতে চায়। এ নিয়ে উভয়ে মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। প্রতিবাদ করায় আরিফকে মেন্টাল মানিকের নেতৃত্বে ছুরিকাঘাত করা হয়। এসময় যৌনকর্মী রিনা আক্তার এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। যৌনকর্মী সোনালীকে মারধর করে তারা। পরে স্থানীয় লোকজন তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আরিফের মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় নিহত আরিফের মা নিরুতাজ বেগম বাদী হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে খুনিদের সনাক্ত করে।
মেন্টাল মানিককে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার কাজিরহাটের পূর্ব রতনপুর এলাকা থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় একই মামলায় আল-আমিন ও মো. রাব্বিকেও গ্রেফতার করা হয়।
নিহত সিএনজি চালক আজমেরী ওরফে আরিফ লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার মুন্সীবাড়ি ৪নং ওয়ার্ডের শিখা গ্রাম এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাবাসাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ড ঘটনোর কথা স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত ছোরাটি ঘটনাস্থলের আশপাশের ময়লার স্তুপ হতে পুলিশের সামনেই মানিক নিজ হাতে বের করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা