‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫।
সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দিনব্যাপী র্যালি, পোস্টার প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও পোনা মাছ অবমুক্তকরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস পরিভ্রমণ করে পুনরায় অনুষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে শিক্ষার্থীরা মৎস্যসম্পদের গুরুত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। অনেকে মাঝি, মৎস্যজীবী ও গবেষকের পোশাক ধারণ করে মাছ এবং মৎস্যশিল্পের বহুমাত্রিক ভূমিকা তুলে ধরেন।
র্যালি শেষে অনুষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুর্শিদা খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন র্যালি ও পোনা অবমুক্তকরণ কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. নুরুন্নবী মন্ডল।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ।
সভায় উপাচার্য বলেন, ‘পানি দূষণ ও পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে অনেক সুস্বাদু দেশি মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। বিলুপ্তপ্রায় এসব প্রজাতির মাছকে সংরক্ষণ ও পুনরুৎপাদনে আমাদের গবেষকদের আরও মনোযোগী হতে হবে। বিশেষ করে কীভাবে এসব মাছ স্বাদুপানিতে সফলভাবে উৎপাদন করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা বাড়ানো প্রয়োজন।’ তিনি মৎস্যসম্পদের সংরক্ষণে জিনব্যাংক প্রতিষ্ঠারও আশ্বাস দেন।
আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জলাশয়ে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ ও সরপুটি প্রজাতির পোনা অবমুক্ত করা হয়।
মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল—মাছের পুষ্টিগুণ, মৎস্যসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ এবং এ খাতের অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করা।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ