বগুড়ায় এক স্কুল ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামি ধরতে গিয়ে গ্রামবাসী পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করে। এসময় হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে এক পুলিশ কনস্টেবল মারা গেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে শিবগঞ্জ থানার দেউলী ইউনিয়নের বোয়ালমারি পুর্বপাড়া গ্রামে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সেই পুলিশ কনস্টেবল ইকরামুল হক (৪৮) মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে,বোয়ালমারি পুর্বপাড়া গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী শিউলী বেগম (৪১) শুক্রবার দুপুরে তার দেবর হেলাল উদ্দিনের ছেলে ৩য় শ্রেনীর স্কুল ছাত্র সাকিবকে(১১) বাড়ির পার্শ্বে বেগুন ক্ষেতে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাটি গ্রামবাসী জানতে পেরে শিউলী বেগমকে আটক করে এবং তার বাড়িতে হামলা চালায়।
খবর পেয়ে মোকামতলা তদন্তকেন্দ্র থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামের লোকজন পুলিশের উপর চড়াও হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের পিকআপটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এসময় কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল ইকরামুল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টায় তিনি মারা যান।
বগুড়ার মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন শিউলী বেগম কোন কারন ছাড়াই তার দেবরের ছেলেকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। গ্রামবাসী তাকে আটক করে এবং বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে গেলে গ্রামবাসী ক্ষুদ্ধ হয়। এসময় হঠাৎ করে পুলিশ কনস্টেবল ইকরামুল অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি মারা যান।
তবে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, পুলিশের উপর কোন হামলা হয়নি।একজন কনস্টেবল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর