বাজারে এসেছে রসালো মৌসুমী ফল তরমুজ। আর বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশী চাষীরাও। মৌসুমের প্রথম দিকে কৃষকরা দামও পাচ্ছেন ভালো। শুধু বরিশাল নয়, বরিশালে উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশে।
মৌসুমী ফল নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বরিশালে তরমুজ চাষী, ফলের আড়তদার এবং শ্রমিকরা।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, বরিশাল অঞ্চলের বেলে-দোয়াশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় এই অঞ্চলে রসালো এই ফলের চাষ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বরিশালে এবার সাড়ে ৯ লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
ফাল্গুনের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখের মাঝামাঝি পর্যস্ত ২ মাস তরমুজের মৌসুম। চৈত্রের ভরা মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত তরমুজে সয়লাব বরিশাল নগরীর মোকাম। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চরমুজ চাষী থেকে শুরু করে বরিশালের আড়তদার ও শ্রমিকরা। দামটাও পাচ্ছেন বেশ। প্রকারভেদে ড্রাগন, জাঁগর এবং সুপার নামে ৩ ধরনের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে বরিশালের বাজারে। এর মধ্যে কালচে রংয়ের জাঁগর তরমুজ স্বাদে অতুলনীয়। বরিশালের বাজারে এবার সর্বোচ্চ ১৬ কেজি ওজনের ড্রাগন জাঁতের একটি তরমুজ পাওয়া গেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাজারে সরবরাহ বাড়বে এবং দাম কিছুটা কমবে বলে আভাস দিয়েছেন কৃষক সহ আড়তদাররা।
বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমর আলী শেখ জানান, দক্ষিনাঞ্চলের বেলে-দোয়াশ মাটি তরমুজের উৎপাদনের জন্য আদর্শ। কৃষি বিভাগের পরামর্শ এবং সহযোগীতায় এ অঞ্চলে দিন দিন তরমুজের চাষ বাড়ছে। এবার বরিশালে ১৯ হাজার ২শ’ ৮১ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশী তরমুজ চাষ হয়েছে পটুয়াখালী, বরগুনা এবং ভোলায়। কৃষি বিভাগ এবার প্রতি হেক্টরে ৫০ টন তরমুজ উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার দক্ষিণাঞ্চলে তরমুজের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমর আলী শেখ।
বিডিপ্রতিদিন/ ই-জাহান