ঝালকাঠির বিনয়কাঠি শেরেবাংলা ফজলুল হক ডিগ্রী কলেজে এইচএসসির পরীক্ষার প্রবেশপত্র নেয়ার বিনিময়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র নিতে এলে কোচিং ফি, ক্লাশ প্রতি অনুপস্থিত ফি ও প্রবেশপত্র ফি বাবদ এ টাকা দাবি করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষার দুইদিন আগেও টাকার অভাবে অনেক শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র নিতে পারেনি। এতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শনিবার দুপুরে কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এসময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পরে কলেজের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরীক্ষার্থীরা কলেজ পরিচালনা কমিটির এক সদস্যের উপর চড়াও হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে এবং সাংবাদিকদের দেখে এসব ফি না নিয়ে প্রবেশপত্র বিতরণ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কলেজের অধ্যক্ষ নিজাম হায়দার দ্রুত কলেজে ক্যম্পাস ত্যাগ করে ঝালকাঠি শহরে চলে যান।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শেরে বাংলা ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ থেকে এ বছর ২৩১ জন এইচএসসি পরীক্ষা দিবে। কলেজে কর্তৃপক্ষ এদের কাছ থেকে এক হাজার থেকে আট হাজার টাকা বাড়তি আদায় করছে। এই টাকা না দিলে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেয়া হচ্ছেনা। এর মধ্যে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৭শত টাকা কেন্দ্র খরচ এবং প্রতি ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে প্রতি ক্লাসে একশত টাকা হারে জরিমানা নিচ্ছে।
পলাশ শর্মা নামের এক পরীক্ষার্থীকে ৮৩ টি ক্লাসে অনপস্থিত দেখিয়ে তার কাছে ৮৩০০ টাকা জরিমানা দাবি করা হয়েছে। টাকা না দিলে প্রবেশপত্র দেয়া হবে না বলে কলেজের শিক্ষকরা ওই শিক্ষার্থীকে জানিয়ে দিয়েছে।
এমন অভিযোগ করেছেন এইচ এস সি পরীক্ষার্থী রেদওয়ান তালুকদার, মো. রোহান, মো. নাঈম, তাসমীন আক্তার, মার্জিয়া আক্তারসহ অনেকে।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ নিজাম হায়দারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন।
এক পর্যায়ে কলেজ মাইকে ঘোষনা দেয়া হয় পূর্ব নির্ধারিত এসব ফি নেয়া বন্ধ করে ফেরত দেয়ার। তখন পরীক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হলেও পরবর্তীতে আবার তা নেয়া হচ্ছে বলে জনা যায়।
এ বিষয়ে কলেজের গর্ভনিং বোর্ডের সদস্য আসাদুজ্জামান শহীদ খান বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিয়মিত কলেজের উপস্থিত করার জন্যই আমরা জরিমানার ব্যবস্থা করেছি। এতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। আর পড়া লেখার মানও ভাল হয়েছে। যারা কলেজে আসে নাই তাদেরই কেবল জরিমানা করা হয়েছে। বিগত দিনে যেভাবে এ টাকা নেয়া হয়েছে এখনো সেই ভাবেই নেয়া হচ্ছে। আমি শিক্ষকদের সাথে কথা বলে বাড়তি টাকা ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নিব।
বিডিপ্রতিদিন/ ই-জাহান