মাগুরার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ে সদর ও মহম্মপুর উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের কবলে পড়ে এ পর্যন্ত ১ জনের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসন।
মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানান, শুক্রবার বিকালে বছরের প্রথম কাল বৈশাখী ঝড়ে দেশের মতো মাগুরা সদর উপজেলার ছোনপুর, মাধবপুর, জগদল মুহম্মদপুরের বিনোদপুর, রাজাপুর কালীশংকরপুরসহ কয়েকটি গ্রামে কাল বৈশাখী আঘাত হানে। ঝড়ে আহত বেরইল পলিতা গ্রামের কৃষক আকরাম হোসেন (৪৫) মারা যায়। মাগুরা মোল্লা পাড়ার আলী হোসেন (৪০) ঢাকায় চিকিকৎসাধীন আবস্থায় আছে।
ঝড়ের তান্ডবে দেড় শতাধীক ঘরবাড়ি ও প্রায় ১০০ হেক্টর ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কৃষি বিভাগ এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিতরনের জন্য ইতি মধ্যে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ২০ বান টিন ও ৫০ টন চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা স্থানীয় চেয়ারম্যানদের মাধ্যেমে পৌছে দেয়া হচ্ছে।
ছোনপুর গ্রামের কনা বেগম জানান, কালকের ঝড়ে আমাদের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে খুব। ঝড়ে বাড়িঘর উড়ে যাবার পর সারা শরীরেও শীল লেগে অনেকে আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫জনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন খাবার দাবারের কোন ব্যবস্থা নেই।
মাধবপুর গ্রামের মিলন হোসেন জানান, প্রচন্ড শীলা বৃষ্টিতে টিন ছিদ্র হয়ে ঘরের মধ্য পানি প্রবেশ করেছে। নতুন করে টিন লাগাতে না পারলে বসত ঘরগুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। শীলা বৃষ্টিতে ধানের শীষ ভেঙ্গে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ধান ক্ষেত সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এ ক্ষতি সাধারণ কৃষকেরা কোনভাবেই কাটিয়ে উঠতে পারবে না বলে তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
বিডিপ্রতিদিন/ ই-জাহান