বাগেরহাটের রামপালে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে হায়দার আলী (৩৫) নামে এক বনদস্যু নিহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
শনিবার দিবাগত রাতে রামপাল উপজেলার সাপমারী এলাকায় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। র্যাব নিহত বনদস্যুর বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি।
র্যাব-৮ এর উপ অধিনায়ক মেজর সজিবুল ইসলাম বলেন, রবিবার বিকেলে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র ও গুলি দিয়ে সুন্দরবনের তিনটি বনদস্যু বাহিনীর সদস্যদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিল। তারই অংশ হিসেবে র্যাবের একটি দল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সুন্দরবনের বনদস্যুদের তিন বাহিনীর সদস্যদের রামপাল উপজেলার সাপমারী এলাকায় আনতে যায়।
তিনি জানান, এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্ধকারের মধ্যে একদল দুর্বৃত্ত গুলি ছোড়ে। এসময় র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় দশ মিনিট গোলাগুলির পর সেই দুর্বৃত্তরা পিছু হটলে সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ একজনের মরদেহ ও ঘটনা স্থল থেকে ১টি একনলা বন্দুক, ২টি কাটা বন্দুক, ১টি পিস্থল, বন্দুকের ১২টি তাজা গুলি ও ২১টি গুলির খোসা উদ্বার করা হয়। পরে স্থানীয়রা এসে মরদেহটি হায়দার আলী নামের এক বনদস্যুর বলে সনাক্ত করেন।
নিহত হায়দার আলী সুন্দরবনের বনদস্যু দলের সক্রিয় সদস্য দাবি করে র্যাবের সেই কর্মকর্তা আরও বলেন, বনদস্যুরা যখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেসময়ে দস্যুদের অতর্কিত হামলা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। এই তিনটি বনদস্যু দলের সদস্যরা যাতে সুন্দরবনে দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে না পারে তা ভেস্তে দিতে অজ্ঞাত বনদস্যু দল পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেন র্যাবের সেই কর্মকর্তা। কোন বনদস্যু দল এই হামলা চালিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর