বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পানিবিহীন একটি মৎস্য ঘের থেকে ১৫ মণ মাছ ‘লুটের’ অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। খাউলিয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কাদের তালুকদার মামলাটি দায়ের করেছেন। টাকার বিনিময়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলার প্রধান আসামি সাহেব আলী তালুকদার (৭০) রবিবার এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের কারণে এই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণী করা হচ্ছে।
সরেজমিনেও মিলেছে এই অভিযোগের সত্যতা। পানির অভাবে কথিত ওই মৎস্য খামারটির মাটি ফেটে চৌচির হয়ে আছে। কোথাও নেই দু’ফোটা পানি। অথচ খামার থেকে প্রতিবেশী সাহেব আলী তালুকদার ও তার সহযোগীরা প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের ৫ মণ গলদা চিংড়ি ও ১০ মণ বিভিন্ন জাতের সাদা মাছ লুট করে নিয়েছে বলে মামলায় বলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে খামারটির ভেড়ি কেটে পানি সরিয়ে মাছ ‘লুট’ করা হয় মর্মে বুধবার মামলা করা হয়। মামলা নং-৫১। প্রতিবেশী ১০ জন এই মামলার এজাহার নামীয় আসামি। যার সকলেই হতদরিদ্র ও দিনমজুর শ্রেণির লোক। পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে আসামিরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ফলে ১০টি পরিবার এখন অসহায় জীবনযাপন করছে। আইনজীবী ধরে কোর্টে হাজির হয়ে জামিন নেওয়ার সামর্থও তাদের নেই।
ঘটনাটি সম্পর্কে স্থানীয় লোকজন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মাষ্টার আবুল খায়ের বলেন, ঘের তো দূরের কথা গোটা মাঠের কোথাও পানি নেই সেখান থেকে ১৫ মণ মাছ লুটের অভিযোগে মামলা দায়ের হওয়া দুঃখজনক। এ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই এসএম আবুল বাসার বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। সত্য উদঘাটন করা হবে। আইন সবার জন্য সমান। কেউ অন্যায়ভাবে হয়রানি হবেনা।
বিডি প্রতিদিন/১ এপ্রিল ২০১৮/হিমেল