টেকনাফের নাফ নদী থেকে হোসেন আহমদ (৩০) নামে এক রোহিঙ্গা জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার এলাকা সংলগ্ন নাফনদীর কিনারা হতে আজ মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহটি নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেলেও শরীররে বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, রবিবার জোহর নামাজের পর টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি বিবেক দাশ নাফ নদীর কিনারা হতে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পরে পুলিশ জানতে পারে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা যুবক উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের-৪ এর বাসিন্দা ওমর আলীর ছেলে হোসেন আহমদের (৩০) লাশ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদর্ন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদরের হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, নাফ নদী হতে উদ্ধার করা লাশের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদর্ন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মে ঐ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইলিয়াছ, আব্দুল আমিন, জানু, আসাদুজ্জামান ও হোছন আহমদ উক্তস্থানে মাছ শিকারে যায়। সেখানে একদল কাঁকড়া শিকারী ও মাছ শিকারীদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরধরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বিষয়টি হোসন আহমদের পরিবারকে জানানো হলে পরদিন খুঁজতে এসে না পেয়ে ফিরে যায়। অবশেষে ঘটনার দু’দিন পর নাফনদীর কিনারায় তার ভাসমান লাশ পাওয়া যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার