অদৃশ্য সাপের উৎপাতে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বলেশ্বরপুর গ্রামের সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকজনকে এই অদৃশ্য সাপে দংশন করেছে বলে শোনা যায়। কমপক্ষে ২৫ জন অদৃশ্য সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে সাপের দংশনে কারো মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
যারা সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়েছে বলে দাবি করছে, তাদের শরীরে দংশনের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে তাদের যুক্তি, গ্রামে জিনসাপ এসেছে। এ কারণে পায়ে কোনো দাগ থাকছে না। তবে পা ঝিনঝিন করছে।
গ্রামের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খবর পেয়ে ঝিনাইদহ থেকে এক ওঝা এসেছিলেন। সেই ওঝা বলে গেছেন, গ্রামে ঝাপান খেলার আয়োজন করলে জিনসাপের উত্পাত কমবে। গতকাল রবিবার গ্রামবাসীর কাছে এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার সময় জানা যায়, সাত দিন আগে শুরু হওয়া অদৃশ্য সাপের আতঙ্ক এখনো বিরাজ করছে।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. খাইরুল আলম বলেন, ‘বলেশ্বরপুর গ্রামে সাপের উত্পাতের খবর আমি শুনিনি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সাপে দংশন করা রোগীর চিকিৎসার জন্য ইনজেকশন আছে। গ্রামে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিতে হবে।’
বিস্তারিত শুনে চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘অসুস্থ না হওয়া সত্ত্বেও কেউ কেউ ভয়ে নিজেই নিজেকে অসুস্থ মনে করে। ফলে ভয়ে সে দুর্বল হয়ে পড়ে। হাসপাতালে আনলে আমরা দেখে বুঝতে পারি, তার শরীরের সব ভালো আছে, পালস ভালো আছে। তাকে স্যালাইন দিলে তার ভয় অনেক ক্ষেত্রে কেটে যায়।’
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর