দিনাজপুরের বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলার আত্রাই নদীর ঝাড়বাড়ী-জয়গঞ্জ খেয়াঘাটে একটি সেতুর প্রয়োজন হলেও আজও সেতুটি হয়নি। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অনেক আবেদন-নিবেদন করেও কোন লাভ হয়নি। বিভিন্ন সময় আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
এতে ঠাকুরগাঁও-নীলফামারী জেলাসহ এ অঞ্চলের এ পথে যাতায়াতকারী মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। অথচ সেতুটি নির্মাণ হলে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, খানসামাসহ ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারী জেলার মধ্যে সেতু বন্ধনের দ্বার উন্মোচন হতে পারে।
দুর্ভোগ থেকে বাচঁতে পারে লক্ষাধিক মানুষ যারা এ নদীপথে বাঁশের সাকো দিয়ে যাতায়াত করে। আত্রাই নদীতে সেতু না থাকায় বাঁশের সাকো কিংবা বর্ষা মৌসুমে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে লক্ষাধিক মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে প্রবল স্রোতের মধ্যে খেয়া নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সকলকে পার হতে হয়। এসময় প্রায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
শতগ্রাম ইউপি আ. লীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আতাউর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলা শহর থেকে ঝাড়বাড়ী হয়ে নদীর জয়গঞ্জ ঘাট দিয়ে নীলফামারী জেলার সাথে ব্রিটিস আমল থেকেই যোগাযোগ ছিল। এ কারণেই উভয় দিকের রাস্তাটিও অনেক প্রশস্থ।
খানসামার আলোকঝাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আ স ম আতাউর রহমান বলেন, এই জয়গঞ্জ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হয়। এখানে সেতু নির্মিত হলে এ অঞ্চলের বড় বড় হাটগুলোর পণ্য সামগ্রী সহজে অন্যত্র যেতে পারবে। এর ফলে এ অঞ্চলের উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের ব্যবসায়িক পরিবর্তন ঘটবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার