বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন না থাকায় দেশের একমাত্র দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনিতে প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে খনির অভ্যন্তরে কর্মরত দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞ ও শ্রমিকদের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে খনির উন্নয়ন ও উৎপাদন ব্যাহত ছাড়াও বিদেশী ও মূল্যবান মেশিনারিজও নষ্টের সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ৭ মে রাত ৯.১২ মিনিট থেকে ৯.২৫ মিনিট এবং রাত ১১.৩৬ মিনিট থেকে ১১.৩৯ মিনিট বিদ্যুৎ বিড়ম্বনায় পড়ে বলে মধ্যপাড়া পাথর খনি সূত্র জানায়।
বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন না থাকায় প্রায়ই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে। এ পাথর খনি জিটিসি’র নিকট হস্তান্তরের পর হতে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ শত বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়েছে বলে দাবি করেন জিটিসি’র জিএম জাবেদ সিদ্দীকী।
পাথর খনি সূত্রে জানা যায়, খনির ভু-গর্ভে পাথর উত্তোলনে প্রয়োজনীয় বিস্ফোরণের পর মূহুর্তেই হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ফলে খনির ভুগর্ভে অবস্থানরত প্রায় দেড় শত খনি শ্রমিক ও বিদেশী বিশেষজ্ঞদের জীবননাশের আশংকা দেখা দেয়। কেননা বিস্ফোরণের পর খনির অভ্যন্তরে বিষাক্ত গ্যাস দ্বারা পরিপূর্ণ হয় এবং স্বাভাবিক নিয়মে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলে ওই বিষাক্ত গ্যাস অপসারণ করা সম্ভব হয়।
জিটিসি’র জিএম জাবেদ সিদ্দীকী জানায়, ৭ মে খনির ভূ-গর্ভে পাথর উত্তোলনে প্রয়োজনীয় বিস্ফোরণের পর মূহুর্তেই হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গেলে খনির ভূ-গর্ভে বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়। এতে ভূ-অভ্যন্তরে কর্মরত প্রায় দেড় শত বিদেশী বিশেষজ্ঞ ও শ্রমিকদের শ্বাসকষ্টসহ তারা আতংকিত হয়ে পড়েন।
তিনি আরও জানান, ইতিপুর্বে খনিতে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ফলে মৃত্যুর ঝুঁকিজনিত পরিস্থিতিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মাানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষকে (এমজিএমসিএল) একাধিকবার পত্র মারফতে অবগত করা হলেও পরিস্থিতি আগের মতোই ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/৯ মে ২০১৮/হিমেল