৩-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের পরও দলের কোনও নেতিবাচক কিছুই চোখে পড়ছে না ভারত অধিনায়কের। এজবাস্টন, লর্ডস, নটিংহ্যাম, সাউদাম্পটন, বিরাটের চোখে এই চার টেস্টেই ইতিবাচক। জয়ের খুব কাছে গিয়েও যেখানে ম্যাচ মাঠেই রেখে আসছে দল, সেখানে যে কোনও দলের অধিনায়কই বিফলতার কারণগুলোকে মনে করে রাখেন। সেখানে বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দলের অধিনায়কের চোখে কোনও গলদই ধরা পড়ছে না।
বিরাট কোহলির এই মনোভাব খানিকটা বাঁকা চোখেই দেখছেন সাবেক ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। তার মতে, “এই ধরনের পরিস্থিতিতে ইতিবাচক মনোভাব দেখাতে হয়। সেই কারণেই এই ধরনের কথা বলছে বিরাট। কিন্তু বিগত ৭টি টেস্টের মধ্যে ৫টিতেই হেরেছে ভারত। সাউদাম্পটন টেস্টে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে, কিন্তু বিরাট আউট হওয়ার পরই ধারাভাষ্যকারদের বলতে শুনেছি, ভারত হেরে যাবে। আর হলও তাই। খুব কাছে গিয়েও জয় হাতছাড়াই হয়েছে ভারতের। যার ফলে ম্যাচের সঙ্গে পতৌদি সিরিজও জিতে নিয়েছে ব্রিটিশরাই।
বিরাটদের ব্যাটিং লাইন যে একদম ফাঁপা সে কথাও নিজের বক্তব্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন সৌরভ। তিনি বলেন, “ম্যাচের পর ম্যাচ, ইনিংসের পর ইনিংস এটাই হয়ে চলেছে। কেবল ২০ উইকেট নিয়েই ম্যাচ জেতা যায় না। টেস্ট জিততে হলে একই সঙ্গে রানও করতে হয় ”।
অতীতেও কোহলি বরাবরই তার দলের ব্যর্থতাকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতাকে যেভাবে আড়াল করেছিলেন ইংল্যান্ড সফরেও তিনি তাই করলেন। তবে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে কোহলির এই মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলে মূলত ক্ষতি হবে ভারতীয় দলেরই, সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি
একই সঙ্গে পৌতদি সিরিজে বিরাট, পূজারা বাদ দিয়ে শিখর, বিজয়, ধাওয়ান, রাহানে, হার্দিক, কার্তিকরা যেভাবে ব্যর্থ হয়েছেন, তাতে কোচ রবি শাস্ত্রীকেও দুষেছেন তিনি। কেন বারেবারে এই ভরাডুবির সম্মুখীন হতে হল ভারতকে, সৌরভ ছাড়াও এই প্রশ্নটাই করছে ওয়াকিবহাল মহলের বাকিরাও।
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর