নাটোরের বড়াইগ্রামে দুস্থদের জন্য খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণের জন্য ডিলারের গোডাউনে সংরক্ষণকৃত চাল ওজনে কম থাকায় উপজেলা প্রশাসন গুদামটি সিলগালা করে দিয়েছে। পাশাপাশি তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রদান করবে। আজ সকাল ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পারভেজ এবং খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোকলেচ আল আমিনসহ প্রশাসনের অন্যান্যরা পরিদর্শনে গেলে প্রতিটি ৩০ কেজি ওজনের ৫টি বস্তা ওজনে ২ থেকে ৩ কেজি করে কম পান।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিলারের গোডাউনে থাকা এই কর্মসূচীর ১৫ টন চালসহ গোডাউন সিলগালা করে দেয় এবং ডিলারকে এ ব্যাপারে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন। ডিলার ওয়াসিমুল বারী দুস্থদের মধ্যে বিতরণের লক্ষে বনপাড়া খাদ্য গুদাম থেকে ৫০০ বস্তা মোট ১৫ টন চাল গ্রহণ করে তা আহমেদপুরস্থ নিজস্ব গোডাউনে সংরক্ষণ করেছিলেন।
খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, গুদাম থেকে সঠিকভাবে মেপে সংশ্লিষ্ট ডিলাররা চাল নিয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে বিতরণ কেন্দ্রে বস্তায় চাল কম পাওয়া গেলে, এটার দায় খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই নিবে না।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোকলেচ আল আমিন বলেন, এ বিষয়ে আমাকে প্রধান করে ইউএনও মহোদয় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে। ডিলারের গোডাউনের সকল বস্তাই মেপে দেখা হবে।
ইউএনও আনোয়ার পারভেজ জানান, তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার