বঙ্গোপসাগরে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ার ২০ নটিক্যাল মাইল গভীরে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো ৩ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে নৌ বাহিনীর যুদ্ধজাহাজ তুরাগ, মেঘনা ও দুর্গম এবং যশোর এরার বেইজ থেকে আসা বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনএস মোংলার নৌঘাঁটির মিডিয়া উইং কর্মকর্তা মো. ফরিদ আহম্মেদ খান।
সোমবার ভোরে বন্দরের ফেয়ারওয়ের ৯ নম্বর বয়া সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে কার্গো জাহাজ এমভি নাসির-জাহানের ধাক্কায় এফবি স্বাধীন নামের বরগুনার পাথরঘাটার একটি ফিশিং ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় নৌবাহিনী ৯ জনকে উদ্ধার করলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৩ জেলে।
এদিকে, সিমেন্টের কাঁচামালবাহী ক্লিংকার বোঝাই কার্গো জাহাজ এমভি নাসির-জাহান মোংলা বন্দরের শিল্প এলাকায় সিমেন্ট মিলসে পণ্য খালাস করলেও জাহাজটিকে কেউ জব্দ করতে পারেনি। দুর্ঘটনার একদিন পর ডুবে যাওয়া ট্রলার এফবি স্বাধীনের মালিকপক্ষ থেকে বরগুনার পাথরঘাটা থানায় একটি জিডি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মেদ খান আরও বলেন, দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে থাকা তাদের জাহাজ তুরাগ ভাসমান অবস্থায় ৯ জেলেকে উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন, মো. হানিফ (৪০), মো. আবুল কালাম (৪২), মো. জাকির হোসেন (৪৭), মো. সুজন (২৮), মো. রুবেল (২৮), মো. মুসা (২২), মো. জাকারিয়া (১৬), মো. কবির (৪২) এবং মো. মনির (২০)। তাদের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায়।
এদিকে, উদ্ধার হওয়া জেলেদের তথ্য অনুযায়ী দুর্ঘটনায় নিখোঁজ তিন জেলেরা হলেন- বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার আব্দুল খালেক (৪৯), বাবুল (৪২) এবং দিপু (১৬)। তাদের এখনো উদ্ধার করা যায়নি। তবে নৌ ও বিমান বাহিনীর জাহাজ এবং হেলিকপ্টার উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম