‘চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মাদক নির্মূল করতে কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান অব্যাহত রেখেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)-এর সদস্যরা। নভেম্বর মাসে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৩৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব-৭। এসব ঘটনায় তিন রোহিঙ্গাসহ ১১ জনকে আটক করে থানায় ১১টি মামলা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে টেকনাফ-১ ক্যাম্পের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব এসব তথ্য জানান।
র্যাব সূত্র জানা যায়, ইয়াবার উৎসভূমি হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে মাদক নির্মূল করতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে র্যাব সদস্যরা। তারই সূত্র ধরে গত (নভেম্বর) মাসে টেকনাফ র্যাব-৭ সদস্যরা জল-স্থলপথ, বসতবাড়ি ও চেকপোস্টে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৩৬০ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে। এছাড়া একটি বিদেশী পিস্তল, ১টি দেশীয় অস্ত্র, বুলেট, ১৪ ক্যান বিয়ার, ৫৭ হাজার ৩৫০ প্যাকেট সিগারেট উদ্ধার করেছে। ওই সময় মাদক পাচারের ব্যবহৃত ১টি ট্রাক, ১টি বাস ও ১টি সিএনজিও জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তিন রোহিঙ্গাসহ ১১ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১১টি মামলা দায়ের করা হয় মডেল থানায়।
এ ব্যাপারে টেকনাফ-১ ক্যাম্পের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব জানান, মাদক নির্মূল করতে সীমান্তে র্যাবের তৎপর অব্যাহত রয়েছে। গত (নভেম্বর) মাসে প্রায় আড়াই লাখ পিস ইয়াবাসহ ১১ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। তার মধ্যে উদ্ধার তিন রোহিঙ্গা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে ১০ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং র্যাবের চলমান এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার