বরিশালে প্রচন্ড শীতে শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ঠান্ডায় আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যাও আগের চেয়ে বেড়েছে হাসপাতালে। গত দেড়মাসে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে (শেবাচিম) চিকিৎসা নিতে আসা ১৭০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এদের বেশীর ভাগই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতলে ভর্তি হয়েছিল। এছাড়া হাসপাতালে শয্যা সংকট থাকায় সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু ও অভিভাবকদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
শেবাচিম হাসপাতাল সূত্র জানায়, ডিসেম্বর মাস থেকে গত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই হাসপাতালে ১৭০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যু হচ্ছে ৪ শিশুর। শেবাচিম হাসপাতাল ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন কিনিক এবং বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা নিচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুরা।
হাসপাতালের শিশু বিভাগের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাইজুল হক বলেন, গত শনিবার একদিনে সর্বাধিক ৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। শীতের প্রকোপে শিশুরা নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাকাইটিস, অ্যাজমাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যেসব শিশুরা শ্বাসকস্ট নিয়ে ভর্তি হয় তাদের চিকিৎসা দেওয়া জটিল হয়ে পড়ে।
শেবাচিম হাসপাতাল সূত্র জানায়, এই হাসপাতালে শিশু বিভাগে ৪৮টি শয্যার বিপরীতে গড়ে প্রতিদিন দুই শতাধিক রোগী চিকিৎসাধীন থাকে। বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নেয় আরও দুই শতাধিক শিশু। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হয়।
বরিশালের শিশু সংগঠক ও খেলাঘরের সভাপতি জীবন কৃঞ্চ দে বলেন, বরিশাল বিভাগে এখন পর্যন্ত বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল গড়ে ওঠেনি। তাই শিশুরা যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেনা।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুরা এই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। নানা কারণে অভিভাবকরা যথা সময়ে হাসপাতালে পৌঁছতে না পাড়ার কারণে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে শিশু মৃত্যুর হার কিছুটা বেড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার