দিনাজপুর জেলার একমাত্র ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান সেতাবগঞ্জ চিনিকল লিমিটেড এবারও পর্যাপ্ত আখের অভাবে লক্ষমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
অপরদিকে, ২০১৮-২০১৯ আখ মাড়াই মৌসুমে সেতাবগঞ্জ চিনিকলের আওতাধীন আখ চাষীরা সরবরাহকৃত আখের মূল্য না পেয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা প্রতিদিন মিলগেটে আখের টাকার জন্য ধর্ণা দিচ্ছেন।
বিগত দিনের ন্যায় এ মৌসুমেও মোটা অঙ্কের লোকসান গুণতে হবে জেলার একমাত্র ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানটিকে।
সেতাবগঞ্জ চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ ডিসেম্বর সেতাবগঞ্জ চিনিকল ৬০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই শুরু করে। ৭.৫ রিকোভারীর ভিত্তিতে ৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আখ মাড়াই শুরু করলে গত ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫৬ কর্ম দিবসে ৪৩ হাজার ৪৩২ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৫.৬০ রিকোভারীর ভিত্তিতে ২ হাজার ৪শত ৫১ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। পর্যাপ্ত আখের অভাবে মিলটি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মিলের আখ চাষী সমিতির সভাপতি ফয়জুল আলম চৌধুরী বাবলু জানায়, সেতাবগঞ্জ চিনিকলের ২০১৮/২০১৯ আখ মাড়াই মৌসুমে প্রান্তিক আখচাষীদের সরবরাহকৃত আখের মূল্য প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা বকেয়া। বকেয়া টাকা পরিশোধে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সেতাবগঞ্জ চিনিকল আখ চাষী সমিতির উদ্যোগে বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফকরুল হাসানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর ২০০ আখ চাষী স্বাক্ষরিত একটি স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/আরাফাত