হত্যা মামলার আসামি জনিকে ধরতে গিয়ে ভুল করে আটক করা সবুজকে জামিন দিয়েছেন আদালত। ফলে প্রায় তিন মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন তিনি। মূল আসামি জনির পিতার নামের সাথে সবুজের পিতার নামে মিল থাকায় এবং দু'জনের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় এই বিভ্রান্তিতে পড়ে পুলিশ। পরে অবশ্য মূল আসামি জনিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। আদালত বলেছেন, এ মামলার সম্পূরক চার্জশিটের পর সবুজকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
২০০৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট বাজার থেকে মিঠু শেখ নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন আরিচপুর বিলে পাওয়া যায় তার মরদেহ। নিহত মিঠু শেখের বাড়ি সদর উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামে। তার ভাই ইসমাইল শেখ বাদী হয়ে এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়্। পরে আদালতে জমা দেওয়া মামলার চার্জশিটে আসামির সংখ্যা একজন কমে আট-এ দাঁড়ায়। এই তালিকায় ৫ নম্বরে থাকা আসামি হলেন সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা কদমতলা এলাকার খাইরুলের ছেলে জনি। জনি পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরই প্রেক্ষিতে যশোর কোতোয়ালি থানার এএসআই সোহেল রানা ওই মামলার ৫ নম্বর আসামি জনিকে গ্রেফতার করে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে সোপর্দ করেন। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
কিন্তু পরবর্তীতে সবুজের পিতা খাইরুল দাবি করেন, পুলিশ জনিকে আটক করতে গিয়ে ভুল করে তার ছেলে সবুজকে আটক করে নিয়ে গেছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে আদালত এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসারকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আজ বুধবার যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে মামলার ধার্য দিন ছিল। এদিন পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতকে বিভ্রান্তির বিষয়টি জানানো হয়। একইসাথে মূল আসামি জনি আটক হয়েছে বলেও আদালতকে অবহিত করা হয়। এ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক আয়েশা নাসরিন সবুজের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
বিডি-প্রতিদিন/২২ মে, ২০১৯/মাহবুব